× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইতিহাস গড়ে ‘দক্ষিণ আফ্রিকা জয়’ লঙ্কানদের

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার

‘মহাসংকটে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট’- দক্ষিণ আফ্রিকা আসার আগে এমন শিরোনাম অনেকেরই চোখে পড়েছে। হ্যাঁ, সংকট ছিল। বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তা, নির্বাচকদের সঙ্গে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শীতল সম্পর্ক। নিয়মিত টেস্ট অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমালকে সরিয়ে দিমুথ করুণারত্নেকে অধিনায়ক করা, মাঠের বাইরের  ইস্যুগুলো শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে বিপথে ঠেলে দিয়েছিল। সঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছিল বাজে পারফরম্যান্স। কিন্তু দাবার চাল উল্টে গেল। গত অক্টোবরের পর জয়হীন থেকে প্রোটিয়াদের ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলতে যাওয়া শ্রীলঙ্কা দেখালো চমক। উপমহাদেশের প্রথম দল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতে হাথুরুসিংহের দল গড়লো ইতিহাস।
সেটিও প্রোটিয়াদের হোয়াইটওয়াশ করে।  
ডারবানে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কা জিতেছিল ১ উইকেটে।  শনিবার পোর্ট এলিজাবেথে সিরিজ নির্ধারণী টেস্টে লঙ্কানরা জিতলো ৮ উইকেটে। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পর তৃতীয় দল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দেখালো শ্রীলঙ্কা। যে কীর্তিতে সোনার হরফে লেখা থাকবে কুসাল মেন্ডিস আর ওশাদা ফার্নান্দোর নামও। ১৯৬ রান তাড়া করতে নেমে ৩৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা। মেন্ডিস-ওশাদার দৃঢ়তায় দ্বিতীয় দিন শেষে স্কোর দাঁড়ায় ৬০/২।
গতকাল তৃতীয় দিনে যখন খেলা শুরু হলো, ম্যাচটা শ্রীলঙ্কা নাকি দক্ষিণ আফ্রিকা, কে জিতবে বলা যাচ্ছিল না। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫৪ রানে গুটিয়ে যাওয়া লঙ্কানদের জয়ের জন্য তখনও প্রয়োজন ১৩৭ রান। পেস সহায়ক উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে এ রানটাকে একেবারে কম ভাবা যায় না। তবে দিনটি বোধহয় সফরকারী দলের নামেই লিখে রেখেছিলেন বিধাতা! মহাকাব্যিক জুটি গড়ে বসলেন মেন্ডিস-ওশাদা। তাদের অবিচ্ছিন্ন ১৬৩ রানের জুটিতে আড়াই দিনেই জয় নিশ্চিত হয়ে গেল শ্রীলঙ্কার। ১১০ বলে ১৩টি চারে ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকলেন মেন্ডিস। ১০৬ বলে ১০টি চার আর ২টি ছক্কায় ওশাদা করলেন ৭৫ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১২৮ রানে গুটিয়ে দেয়ার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল সুরাঙ্গা লাকমলের। ৪ উইকেট নিয়েছিলেন এ লঙ্কান পেসার।  তবে ব্যাটিং নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা হয়েছেন কুসাল মেন্ডিস। সিরিজসেরার পুরস্কার উঠেছে কুসাল পেরেরার হাতে। সিরিজের প্রথম টেস্টে দশম উইকেটে রেকর্ডগড়া ৭৯ রানের জুটিতে যিনি শ্রীলঙ্কাকে এনে দিয়েছিলেন এক অবিশ্বাস্য জয়। সিরিজের সর্বাধিক (২২৪) রান সংগ্রাহক ব্যাটসম্যানও তিনি। দ্বিতীয় সর্বাধিক ২২২ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক। প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসির ব্যাট থেকে আসে ২২০ রান। বল হাতে ৪ ইনিংসে সর্বাধিক ১২ উইকেট শিকার শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি পেসার বিশ্ব ফার্নান্দোর। ৯ উইকেট নিয়ে দুই নম্বরে শ্রীলঙ্কার আরেক পেসার কাসুন রাজিথা। ৮ উইকেট শিকার দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্যাটিং
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২২২ ও ১২৮
শ্রীলঙ্কা: ১৫৪ ও ১৯৭/২
ফল: শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: কুসাল মেন্ডিস (শ্রীলঙ্কা)
সিরিজসেরা: কুসাল পেরেরা (শ্রীলঙ্কা)
দুই ম্যাচের সিরিজ: শ্রীলঙ্কা ২-০তে জয়ী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর