বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে সপ্তম রাউন্ড পর্যন্ত জয়হীন ছিল রহমতগঞ্জ, বিজেএমসি ও নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। এদের মধ্যে সাত ম্যাচের চারটিতে ড্র করেছে রহমতগঞ্জ। বিজেএমসি ড্র করেছে তিন ম্যাচে। একম্যাচ কম খেলা নোফেল প্রতিপক্ষকে দুই ম্যাচে রুখে দিয়েছিল। গতকাল সপ্তম ম্যাচে এসে প্রিমিয়ার লীগে প্রথম জয় পেয়েছে নবাগত ক্লাবটি। নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে তারা। নোফেলের হয়ে একটি করে গোল করেন ইসমাইল বাঙ্গুরা ও মোহাম্মদ ফরহাদ।
লীগে প্রথম ম্যাচে শেখ রাসেলের কাছে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে মোহামেডানকে হারায় ব্রাদার্স। লীগে অর্জন বলতে এতটুকুই গোগীবাদের দলটির।
এরপর টানা চার ম্যাচে হেরেছে ব্রাদার্স। গতকাল তুলনামূলক খর্বশক্তির নোফেলের বিরুদ্ধে একেবারে অচেনা ছিল ঐতিহ্যবাহী দলটি। যার ফল পেয়েছে ম্যাচের প্রথমার্ধে। ম্যাচের প্রথমার্ধেই দুই গোলে পিছিয়ে পরে সৈয়দ নঈমুদ্দিনের শিষ্যরা। চার মিনিটেই ইসমাইল বাঙ্গুরার গোলে এগিয়ে যায় নোফেল। আশরাফুল ইসলামের ক্রসে হেডে বল জালে পাঠান গিনির স্ট্রাইকার। ২৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফরহাদ। এর পরে ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি সৈয়দ নঈমুদ্দিনের ব্রাদার্স। এ জয়ের আগে ছয় ম্যাচে দুই ড্র ও চার হারে পয়েন্ট টেবিলের তলানির দিকে অবস্থান করছিল নোফেল। এক জয়েই ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নবম স্থানে পৌঁছে গেছে দলটি। তাদের নিচে এখন অবস্থান করছে মোহামেডান স্পোর্টিং লিমিটেডও। আর সাত ম্যাচে এক জয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের একেবারেই তলানিতে ব্রাদার্স।
এদিকে, আগের ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিংকে হারিয়ে আসা সাইফ স্পোর্টিং জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারেনি। চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে ড্র করেছে দলটি। ময়মনসিংহের শহীদ রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে গতকাল দুই দলের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। সাত ম্যাচে চার জয় ও দুই ড্রয়ে ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ সাইফ স্পোর্টিংয়ের। আট ম্যাচে দুই জয় ও চার ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট চট্টগ্রাম আবাহনীর।