× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পক্ষে শচিন

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার

কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার জেরে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ম্যাচ বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন ভারতীয়রা। এতে সমর্থন দিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলিসহ কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটারও। তবে শচিন টেন্ডুলকার মনে করেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করলে ভুল করবে ভারত।
ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ২০১৯ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হবে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত-পাকিস্তান। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ১৬ই জুন ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে মাঠে গড়াবে ম্যাচটি। কিন্তু গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর ওই ম্যাচ আয়োজনে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ভারতীয় সরকারের নির্দেশে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিসিসিআই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বিশ্ব ক্রিকেটের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসির কাছে চিঠিও পাঠায় তারা।
চিঠিতে ম্যাচ বাতিলের কথাও উল্লেখ রয়েছে।
তবে শচিন মনে করছেন, পাকিস্তানকে ম্যাচ ছেড়ে দিলে ভারতের কোনো লাভ হবে না; উল্টো ২ পয়েন্ট পেয়ে লাভবান হবে পাকিস্তানই। সেজন্যই ম্যাচটি আয়োজনের পক্ষপাতী তিনি, ‘বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত সব সময়ই দাপট দেখিয়েছে। আবারো সময় এসেছে তাদের হারানোর। ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই না ভারত পাকিস্তানকে দুই পয়েন্ট দিয়ে তাদের উপকার করুক।’   
শচিনের আগে সাবেক ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কারও এমন কথা বলেছিলেন। গাভাস্কারের মত ছিল, বিশ্বকাপে ম্যাচ বাতিল নয়; ১৪ই ফেব্রুয়ারি জঙ্গি হামলায় নিহত ৪৪ ভারতীয় জওয়ান হত্যার প্রতিশোধ ভারত নেবে পাকিস্তানকে হারিয়ে।  
তাছাড়া ম্যাচ বয়কট করলে আইসিসির শাস্তির মুখে পড়তে পারে ভারত। হামলার পর শুটিং বিশ্বকাপে যোগ দিতে আসার জন্য দুই পাকিস্তানি শুটার এবং তাদের ম্যানেজারকে ভিসা দেয়নি ভারত। এ কারণে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মহলে চাপের মুখে পড়েছে দেশটি।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) জানিয়েছে, যেসব আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছিল, সেগুলো স্থগিত করে  দেয়া হচ্ছে। ফলে ভারতের মাটিতে ২০২৬ সালের যুব অলিম্পিক, ২০৩০ সালের এশিয়ান গেমস আর ২০৩২ সালের অলিম্পিক ও ২০২০ সালের প্রমীলা ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
পাকিস্তানি শুটারদের ভিসা না দিয়ে অলিম্পিক নীতি লঙ্ঘন করেছে ভারত। অলিম্পিক নীতিতে বলা আছে আয়োজক দেশ জাতি, ধর্ম বা রাজনৈতিক কারণে কোনো প্রতিযোগীর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারবে না। আইওসি তাই কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারতকে। জানিয়েছে, ভবিষ্যতে কোনো আন্তর্জাতিক আসর আয়োজন করতে হলে এখন থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে সে দেশের সরকারকে। যেন কোনো দলের প্রতিযোগীর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ না করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর