নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের তিক্ত অভিজ্ঞতা পেতে হয়েছে টাইগারদের। তবে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে ভালোই প্রস্তুতি সারলেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। গতকাল লিংকনে নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে একমাত্র দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাট হাতে অর্ধশতক হাঁকান বাংলাদেশের চারজন খেলোয়াড়। এতে দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪০০ ছাড়িয়ে যায়। লিংকনে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আর ৪১১/৬ সংগ্রহ নিয়ে ম্যাচের প্রথমদিনের খেলা শেষ করে সফরকারী বাংলাদেশ। ইনজুরির কারণে প্রস্তুতি ম্যাচের বাইরে রয়েছেন মুশফিকুর রহীম ও মোহাম্মদ মিঠুন। ছয় উইকেট হারালেও ব্যাট করেছেন একাদশের সব খেলোয়াড়ই।
সবাইকে সুযোগ করে দিতে রান পেয়ে স্বেচ্ছায় অবসরে যান চার ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। চার নম্বরে ব্যাট হাতে লিটন কুমার দাস করেন ৬২ রান। এ ছাড়াও হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (৫৯) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (৫১)। ওপেনার তামিম ইকবাল ৪৫ ও পাঁচ নম্বরে ব্যাট হাতে সৌম্য সরকার করেন ৪১ রান। বাংলাদেশের ইনিংসে শুরুর ১০ ব্যাটসম্যানের প্রত্যেকেই পৌঁছেন ব্যক্তিগত দুই অঙ্কের রানের কোঠায়। ১ বল মোকাবিলায় ০ রানে অপরাজিত থাকেন এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান খালেদ আহমেদ। লিংকনে বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা ছিল দারুণ। ৩০.৩ ওভারে ১১৩ রানের জুটি গড়েন তামিম-সাদমান। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তামিমের সংগ্রহ ছিল ৫, ৫, ০। ক্রিজে ব্যাট হাতে কাটিয়েছিলেন সাকুল্যে ৩৫ মিনিট। গতকাল দুই ঘণ্টা ক্রিজে কাটিয়ে লাঞ্চের আগমুহূর্তে উইকেট দেন তামিম। ততক্ষণে ৮৩ বলের ইনিংসে তামিম হাঁকান পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা। নিউজিল্যান্ডের বল হাতে মূলত স্পিনাররাই কাটিয়ে দেন দিনটি। বাঁ-হাতি ফিঙ্গার স্পিনার লকরোজ বল করেন ২৭ ওভার। ১০৪ রানে এক উইকেট নেন লকরোজ। আর ২৫.১ ওভার বল করেন বাঁ-হাতি রিস্ট স্পিনার ব্লেক কোবার্ন। অফস্পিনার জ্যাকব ভুলা করেন ৫ ওভার।
ইনিংসে দুই উইকেট নেন নিউজিল্যান্ড একাদশের বাঁ-হাতি চায়নাম্যান বোলার ব্লেক কোবার্ন। তবে উইকেটশূন্য থাকেন নিউজিল্যান্ডের দ্রুতগতির বোলার অ্যাডাম মিলনে। নিউজিল্যান্ডের বল হাতে ৪০ ওয়ানডে ও ২১টি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতালব্ধ এ কিউই পেসার সাকুল্যে বল করেন ৪ ওভার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৯৬.১ ওভারে ৪১১/৬ (তামিম ৪৫, সাদমান ৬৭, মুমিনুল ২০, লিটন ৬২ (অবসর), সৌম্য ৪১ (অবসর), মাহমুদুল্লাহ ৫৯ (অবসর), মিরাজ ৫১ (অবসর), তাইজুল ১৪, নাঈম ১২, আবু জায়েদ ২৩, খালেদ ০*, কোবার্ন ২/৯২)