× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নোয়াখালীতে ১৭ জনের দাফন সম্পন্ন এখনো নিখোঁজ ৩১

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার

ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নোয়াখালীর ১৭ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এখনো ৩১ জনের মতো নিখোঁজ রয়েছে। গতকাল রাত পর্যন্ত সোনাইমুড়ি, বেগমগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ ও হাতিয়ার বিভিন্ন স্থানে নিহতদের পারিবারিক কবরস্থানে ১৭ জনের লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। হৃদয়বিদারক এ ঘটনায় সোনাইমুড়ি, বেগমগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ ও হাতিয়ার গ্রামে গ্রামে চলছে শোকের মাতম। অন্যদিকে, জেলার বিভিন্ন মসজিদ  ও ইবাদতখানায় নিহতদের স্মরণে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। আকস্মিক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পরিবারের কর্মক্ষম আপনজনকে হারিয়ে পরিবার নিঃস্ব হয়ে এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে। কীভাবে তারা এই অপূরণীয় ক্ষতি পূরণ করবে? কেউ আপনজন, কেউ দোকানপাট, আবার কেউ দুটোই হারিয়েছে।

বেগমগঞ্জ উপজেলার মুজাহিদপুর গ্রামের কামাল হোসেন ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী গ্রামের জসিম উদ্দিন, নাটেশ্বর ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামের খাসের বাড়িতে একই পরিবারের দুই সহোদর মাসুদ রানা ও রাজুর দাফন হয়েছে। নাটেশ্বর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন স্বপন  জানান, বটতলী গ্রামের সাহাদাত হোসেন হীরা, মির্জা নগরের আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নাছির উদ্দিন, আলী হোসেন ও হেলাল উদ্দিন এবং পার্শ্ববর্তী বারগাঁও ইউনিয়নের কৃষ্ণরামপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে, গত দুইদিন ধরে হতাহতের খবরে স্বজনদের আহাজারিতে নোয়াখালীর গ্রামে গ্রামে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।

কেউ কেউ স্বজনদের এখনো সন্ধানই পাচ্ছেন না, তারা বেঁচে আছেন কি মরে গেছেন তাও জানা নেই অনেকের। সোনাইমুড়ির নাটেশ্বর ইউনিয়নের সহস্রাধিক মানুষ ঢাকার চকবাজারে ব্যবসা ও বসবাস করছেন। বজরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবেদুর রহমান জানান, নোয়াখালীর মানুষ জীবন-জীবিকার তাগিদে ঢাকা সহ চকবাজারে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে গিয়ে নিথর দেহে ফিরলো নিজ জন্মস্থানে। তাই পরিকল্পিত নগরায়নে চকবাজারের মতো ভবিষ্যতে এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যেন না ঘটে সেই ব্যবস্থা নেবে সরকার- এমনটাই প্রত্যাশা এই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় এলাকাবাসীর।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর