সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন গণফোরামের মোকাব্বির খান। মার্চের প্রথম সপ্তাহেই তিনি শপথ নেবেন বলে মানবজমিনকে জানিয়েছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৮ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তাদের মধ্যে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও মোকাব্বির খান গণফোরামের হয়ে নির্বাচন করেন। নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় বিজয়ী কেউ শপথ নেবেন না বলে ঐক্যফ্রন্ট ঘোষণা দিয়েছে। ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ গণফোরামের মনোনয়ন পেয়ে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হন। ঐক্যফ্রন্ট ও গণফোরাম বিজয়ীদের শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত জানালেও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন স্থানীয় ভোটারদের চাপে তিনি শপথ নিচ্ছেন। মোকাবিবর খান শপথ নিচ্ছেন কিনা এ নিয়ে এতদিন ধোঁয়াশা ছিল।
গতকাল মানবজমিনের সঙ্গে আলাপে গণফোরামের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই তিনি শপথ নিচ্ছেন।
সুলতান মনসুর ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করলেও মোকাব্বির খান নির্বাচন করেন গণফোরামের প্রতীক উদীয়মান সূর্য প্রতীকে। তার নির্বাচনে অংশ নেয়াটাও ছিল নানা নাটকীয়তায় ভরা। সিলেট-২ (বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) আসনে প্রথমে দলীয় মনোনয়ন পেলেও এ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছিলেন প্রয়াত ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আইনি জটিলতায় পড়ে লুনা নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়ায় এ আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী শূন্য হয়ে পড়ে। মোকাব্বির খান মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় তার প্রতি সমর্থন দেয় ঐক্যফ্রন্ট। ১২৭টি কেন্দ্রে ‘উদীয়মান সূর্য্য’ প্রতীকে ৬৯ হাজার ৪২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন মোকাব্বির খান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুর রহমান ‘ডাব’ প্রতীকে পান ৩০ হাজার ৪২০ ভোট। এ ছাড়া মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী ‘লাঙ্গল’ প্রতীকে পান ১৮ হাজার ৩২ ভোট।