চকবাজার ট্র্যাজেডির ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ ৯ জনকেই আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে শুধু সোহাগ নামের একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়েছিল। বাকি আটজন ছিল পোস্ট অপারেটিভ রুমে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ। এখন কোনো পরিবর্তন হয়নি। আরো দু-চার দিন না যাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। আহতদের গলার ভেতরে ধোঁয়া ঢুকেছে। শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।
সোহাগের শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। রেজাউলের শরীরের ৫১ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। কর্তব্যরত একজন নার্স বলেন, তাদের অবস্থা কারোরই ভালো না। এ জন্য সকলকে একসঙ্গে মনিটর করার জন্য আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢামেকে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, অগ্নিদগ্ধে আহত ৯ জনকেই এখন আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তাদের অবস্থা আগের মতোই। দু’চার দিন না যাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না।
কেউই ঝুঁকিমুক্ত নন। বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন- আনোয়ার (বয়স-৫৫, তার ২৮ শতাংশ দগ্ধ), মাহমুদুল (বয়স-৫২, তার ১৩ শতাংশ পুড়ে গেছে), সেলিম (বয়স-৪৪, তার ১৪ শতাংশ দগ্ধ), হেলাল (বয়স-১৮, তার ১৬ শতাংশ পোড়া), রেজাউল (বয়স-২১, তার ৫১ শতাংশ দগ্ধ), জাকির (বয়স-৩৫, তার ৩৫ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে), মোজাফ্ফর (বয়স-৩২, তার ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে), সোহাগ (বয়স-২৫, তার ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে) ও সালাউদ্দীন ( বয়স-৪৫, তার ১০ শতাংশ দগ্ধ)। এ ছাড়া ওই ঘটনায় ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রবিউল (বয়স-২৮) এবং কাওসার (বয়স-৩৫)। রবিউল ওয়ান স্টপে রয়েছেন এবং কাওসার আছেন অর্থোপেডিক বিভাগে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দুজনের মধ্যে একজনের অবস্থা খারাপ। তবে আশঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।