ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তপ্তকর পরিস্থিতি এবং পাল্টাপাল্টি বিমান হামলার মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার সইদ হায়দার শাহকে। বুধবার সকালে পাকিস্তান বিমানবাহিনী দুটি ভারতীয় যুদ্ধ বিমানকে ভূপাতিত করার দাবি জানিয়েছে। এমনকি একজন পাইলটকে আটক করার দাবিও করেছে পাকিস্তান। প্রমাণস্বরুপ একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাবীশ কুমার বিমান বাহিনীর ভাইস মার্শাল আর কে কাপুরকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে একটি মিগ-২১ বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। সেইসঙ্গে একজন পাইলট যে নিখোঁজ হয়েছে সেকথাও জানিয়েছেন। পাকিস্তানের একটি জেট বিমানকে ভূপাতিত করারও দাবি করেছে ভারত। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতীয পাইলটকে হেফাজতে নেবার ব্যাপারে সরকারিভাবে কোনও তথ্য ভারতকে জানানো হয় নি।
আর তাই অনুমান করা হচ্ছে, সে ব্যাপারেই পাক ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য চাওয়া হবে।
এদিকে দুই দেশের সম্পর্ক যখন একেবারে নীচে নেমে এসেছে ঠিক তখনই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারত আলোচনায় বসতে চাইলে তারা প্রস্তুত। দুই পক্ষ বসে আলোচনা করাই শ্রেয় বলে তিনি জানিয়েছেন। ইমরান আরও বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হলে দুই দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রীর হাতেই আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সুযোগ থাকবে না। তিনি আরো বলেছেন, যারা যুদ্ধ শুরু করে তারা নিজেরাও জানে না কোথায় গিয়ে থামতে হবে। সেইসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী পুলওয়ামায় জঙ্গী হানার তদন্তে সহযোগিতার কথাও বলেছেন।
অন্য দিকে চীনে একটি বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ভারতীয় বিমান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে অভিযানের সমর্থনে বলতে গিয়ে বলেছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান নয়। বরং আত্মরক্ষার্থে বালাবোটে জইশ ই মহম্মদের জঙ্গী ঘাঁটিতে বোমা বর্ষন করেছে ভারত। ভারতে ফের জঙ্গী হামলার ছক কষেছিল জইশ। আর তাই সেটা রুখতেই বিমান অভিযান চালানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সুষমা আরো বলেছেন, ভারত উত্তেজনা প্রশমনের জন্য দায়িত্বশীল ও সংযত পথেই চলতে চাইছে।