পাক হেফাজতে থাকা ভারতের মিগ যুদ্ধবিমানের পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের সমস্ত ভিডিও ফুটেজের সমস্ত লিঙ্ক ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য আন্তর্জাতিক এই ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক। এই নির্দেশ পাওয়ার পরই ইউটিউব কর্তৃপক্ষ ধৃত পাইলটের এগারোটি ফুটেজের লিঙ্কই সরিয়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শেই তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক এই নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে। পরে ভারত সরকার জানিয়েছে সব ফুটেজই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে গুগল-এর ( এরাই ইউটিউব চালায়) এক মুখপাত্র বলেছেন, কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বৈধ আইনি অনুরোধ এলে তা রাখার চেষ্টা করার দীর্ঘমেয়াদী নীতি অনুয়ায়ী সংশ্লিষ্ট বিষয়কে দ্রুততার সঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরও জানিয়েছেন,আমাদের ট্রান্সপেরেন্সি রিপোর্টে নিয়মিত সরকার যে সব তথ্য বা বিষয় সরিয়ে নিতে বলেন তার উল্লেখও থাকে। বুধবার দুপুর থেকেই ইন্টারনেটে ও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় পাক সেনাবাহিনীর হাতে আটক ভারতীয় পাইলটের ধরা পড়া সহ পাক হেফাজতে থাকার নানা ছবি। দ্রুত এই ছবিগুলো শেয়ার হতে থাকে ।
এই সব ছবিতে দেখা গেছে পাইলট অভিনন্দনকে টেনে তোলা হচ্ছে, কোনটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পাইলটকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এছাড়াও এক পাক সেনাকর্তার সঙ্গে কথোপকথনের ভিডিও ও অডিও ক্লিপও ছড়িয়ে পড়েছিল।
পাক সেনাবাহিনীর এগুলি প্রচার করেছিল। গত বুধবারই ভারত পাকিস্তানকে নিঃশর্তভাবে ভারতীয় পাইলট অভিনন্দনকে মুক্তি দাবি জানিয়েছিল। নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে এ ব্যাপারে একটি ডোসিয়ারও তুলে দেওয়া হয়েছে। ভারতে পাক জঙ্গীগোষ্ঠার নাশকতা সংক্রান্ত তথ্য ও প্রমাণ তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে ভারতীয় পাইলটের ব্যাপারে গোটা ভারতের মানুষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁকে দ্রুত ভারতে ফিরিয়ে আসার জন্য দাবিও জানানো হয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি আগেই বলেছেন যে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হলেও ধৃত পাইলটকে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব।
তবে এই ঘোষণার এক ঘন্টার মধ্যেই বৃহষ্পতিবার পাক সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শুক্রবারই পাইলট অভিনন্দনকে ভারতে ফিরিয়ে দেবার ঘোষণার মধ্য ভারতকে শান্তির বার্তা দিতে চেয়েছেন। শুক্রবার ভারত পাক সীমান্তের ওয়াঘা চেক পোষ্ট দিয়েই পাইলট অভিনন্দনকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।