× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সন্তান নেয়ার সঠিক সময় কোনটি?

ষোলো আনা

ডা. শাহীনা বেগম শান্তা
৮ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার

ফরিদা (৩১) ও সোহেল (৩২) দম্পতি। দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম সংসারে কোনো সন্তান না হওয়ায় বিচ্ছেদ হয় ফরিদার। আর সোহেলের প্রথম স্ত্রীর জরায়ু মুখে টিউমার অস্ত্রোপচারের সময় কেটে ফেলতে হয় জরায়ু। তাই ফরিদার সঙ্গে সন্তানের আশায় ফের ঘর বেঁধেছেন সোহেল। ফরিদার গত এক বছর ধরে মাসিক অনিয়মিত এবং শেষ চার মাসে কোনো মাসিক হয়নি। রিপোর্ট দেখে বুঝতে পারি- তার ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণুর পরিমাণ অনেক কম। তাই গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।

অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে মাত্র ৩১ বছর বয়সে ডিম্বাণুর পরিমাণ কীভাবে এত কমে যায়? মূলত এই ডিম্বাণু নিঃশেষ হাওয়ার বিষয়টি একদম প্রকৃতি প্রদত্ত।
একমুখী যাত্রা। অনেকের ধারণা, জন্মনিয়ন্ত্রণের কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করলে ডিম্বাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া রোধ করা যায়। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। যেমনটা হয়েছে ফরিদার ক্ষেত্রে।
একজন নারীর ৩০ বছরের পর থেকে ডিম্বাণু নিঃশেষ হওয়ার পরিমাণ ত্বরান্বিত হওয়া শুরু হয়। আর ৩৫ বছরের পর থেকে আরো দ্রুততার সঙ্গে শেষ হয়। সেই সঙ্গে ডিম্বাণুর গুণগতমান কমতে থাকে। ৪৭-৪৮ বছরের নারীও মাসিক নিয়মিত হয় কিন্তু গর্ভবতী হওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাই ক্যারিয়ার গড়ার বয়সের সীমারেখা না থাকলেও আছে মাতৃত্বের বয়সের সীমারেখা।

আরো কিছু কারণে ডিম্বাণুর পরিমাণ কমতে পারে। যেমন ডিম্বাশয়ে কোনো অস্ত্রোপচার হলে। ডিম্ব নালী কেটে গেলে। পারিবারিক রোগের ফলেও হতে পারে। আবার ক্যানসার চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় ডিম্বাণুর পরিমাণ কমে যাওয়া। সেই সঙ্গে পরিবশে দূষণ ও খাবারে ভেজালের কারণেও ডিম্বাণুর পরিমাণ কমে যেতে পারে।

লেখক: কনসালট্যান্ট, গাইনি বিভাগ
বিআরবি হাসপাতাল লিমিটেড
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর