× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পশ্চিমবঙ্গে ৭ দফায় ভোট ঘোষণায় ক্ষুব্ধ শাসক তৃণমূল কংগ্রেস

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) মার্চ ১১, ২০১৯, সোমবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন

পশ্চিমবঙ্গে ৭ দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে চাপানউতোর। গত বারের লোকসভা নির্বাচন যেখানে ৫ দফায় হয়েছিল সেখানে এবার ৭ দফায় হওয়ায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বেজায় ক্ষুব্ধ। সারাদেশের মধ্যে বিহার ও উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেই ৭ দফায় ভোট হচ্ছে। অবশ্য পর্যবেক্ষকদের মতে, নিরাপত্তার স্বার্থেই এই দফা ভাগ করা হয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে যেভাবে গায়ের জোর খাটানো হয়েছে এবং হিংসার পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল তার মোকাবিলা করতেই সম্ভবত অল্প অল্প কেন্দ্র ধরে দফা ভাগ করা হয়েছে। দেশটির মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরাও বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার বিষয়টি মাথায় রেখেই দফা ভাগ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘ এক মাস ৮ দিন ধরে ভোট করানোর সিদ্ধান্তে তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের অসুবিধার কথা তুলে ধরলেও রাজ্যের অন্য দুই বিরোধী দল সিপিএম এবং কংগ্রেস অবশ্য বলেছে, ক’দফায় ভোট হচ্ছে সেটা বড় কথা নয়। মানুষ অবাধে ভোট দিতে পারবে, এটাই নিশ্চিত করুক নির্বাচন কমিশন।
অন্যদিকে বিজেপি ৭ দফায় ভোট ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। বিজেপির মতে, বাংলায় ৭ দফায় ভোটগ্রহণ রাজ্য সরকারের জন্য ‘অপমান’। তাদের মতে, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট যে, বাংলায় আইনশৃঙ্খলার হাল খারাপ। সাধারণ মানুষের অসুবিধা এবং রমজান মাসে ভোট ফেলার যুক্তি নিয়েই তৃণমূল কংগ্রেস বেশি সরব হয়েছে। রবিবার নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই  তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, আমরা যারা রাজনৈতিক দল করি, তাদের অসুবিধা নেই। কিন্তু অসুবিধা মানুষের। এত দিন ধরে ভোট চলবে। রমজানের মধ্যেও ভোট হচ্ছে। বাংলা, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘু মানুষের অসুবিধা নিয়ে আমরা চিন্তিত। ফিরহাদ এদিন বলেছেন, রাজ্যে আগেও নানা দফায় এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে। তাতে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ২১১টি আসন জিতে ক্ষমতায় ফিরেছে। সুতরাং, ৭ দফায় ভোট হচ্ছে বলে তারা ‘আতঙ্কিত’ এমন মনে করার কোনও কারণ নেই। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বিরোধী বিজেপিকে বিঁধে বলেছেন, ওরা সরকারকে ব্যবহার করে এমন রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছে যে, এখানে ৭ দফায় নির্বাচন দেওয়া হল। কিন্তু ভোটের পর বিজেপি বুঝবে, কত ধানে কত চাল। মানুষ ব্যালটে এর জবাব দেবে। মন্ত্রীর আরও অভিযোগ, এখানে যেটুকু আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হয়েছে, তা বিজেপির জন্যই। তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহের দাবি করেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই রাজ্যে  ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। ভোট লুট হয়েছে। মানুষ খুন হয়েছে। বিজেপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল। কমিশন আমাদের অভিযোগকে মান্যতা দিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়ে এসে যথাযথ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য তারা কমিশনে আবেদন করেছিলেন। প্রয়োজনে আবার করবেন। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেন, কয় দফায় ভোট হল, সেটা বড় কথা নয়। মানুষ অবাধে ও সুষ্ঠু ভাবে নিজের ভোট নিজে দিতে পারলেন কি না, সেটা নিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে। সেই সঙ্গে বিমান বসু বলেছেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে এ রাজ্যে। একই সুরে বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান বলেছেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট হচ্ছে কি না, সেটাই আসল কথা। এর আগে ভোটের দিনে গন্ডগোলের সময়ে অভিযোগ জানিয়ে দেখা গিয়েছে, কমিশনের আধিকারিকেরা ঘুমিয়ে থাকছেন। তবে তিনি মনে করেন, রমজানে ভোট না হওয়াই বাঞ্ছনীয় ছিল।

পশ্চিমবঙ্গে কোথায় কবে নির্বাচন : পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফায় নির্বাচন হবে ১১ এপ্রিল, সেদিন ২ টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এই দু’টি কেন্দ্র হল কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার। এর পর ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ এবং দার্জিলিং, এই তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, বালুরঘাট, জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদ, এই পাঁচটি আসনে ভোট হবে তৃতীয় দফায়। এই দফায় ভোটগ্রহণ ২৩ এপ্রিল। ২৯ এপ্রিল চতুর্থ দফায় বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বীরভূম, বোলপুর, বর্ধমান-দুর্গাপুর এবং আসানসোল, এই ৮টি আসনে ভোট নেওয়া হবে। পঞ্চম দফায় ভোট ৬ মে ভোট গ্রহণ করা হবে বনগাঁ, বারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, আরামবাগ এবং হুগলি, এই সাতটি কেন্দ্রে। ১২ মে ষষ্ঠ দফায় ৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এই আসনগুলি হল, তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর। সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন ১৯ মে। এই দফায় ভোট গ্রহণ হবে দমদম, বারাসাত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, যাদবপুর, কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ এবং ডায়মন্ডহারবার, এই ৯টি আসনে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর