বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্বাচনের খরচের হিসেবে ভারতের নির্বাচনের খরচই সবচেয়ে বেশি। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের চেয়েও তা এক বিলিয়ন বেশি হবে। এবারের লোকসভা নির্বাচনেই খরচ হতে চলেছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি রুপি। নয়াদিল্লির সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজের (সিএমএস) তথ্য মতে, ২০০৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাচনে সাড়ে ছয় বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল। কিন্তু ভারতের ভোটে এ বার খরচ হতে চলেছে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার। নির্বাচন কমিশন এবছর সোস্যাল মিডিয়ার বিজ্ঞাপন বাবদ যে খরচ হবে তাকেও প্রার্থীর খরচের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবুও এ বারের নির্বাচনে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনে বিরাট অঙ্কের টাকা খরচের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজ। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নির্বাচনের বিজ্ঞাপনেই খরচ হতে চলেছে প্রায় ২৬০০ কোটি রুপি। এবার এপ্রিলের ১১ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত, এই দীর্ঘ সময়ে সব কেন্দ্রেই চলবে রাজনৈতিক দলগুলির নেতা-কর্মীদের ব্যাপক প্রচার।
সিএমএসের মতে, ২০১৪ সালের নির্বাচনের চেয়ের থেকে এ বার প্রায় ৪০ শতাংশ খরচ বেড়ে যেতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া, যাতায়াত, বিজ্ঞাপনেই খরচ বাড়বে বেশি। সংস্থাটির মতে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে সোশ্যাল মিডিয়ায় খরচ হয়েছিল প্রায় ২৫০ কোটি রুপি। এ বার সেই খরচ পৌঁছতে পারে ৫ হাজার কোটি রুপিতে। হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে পরিবহণের অন্য খরচও বেড়ে যাবে বিরাট ভাবে।
ফলে নির্বাচনের সামগ্রিক খরচে তার প্রভাব পড়বে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রার্থী সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে খরচ বেশি হওয়ার। ভোটারদের খুশি করতে নানা ধরনের খরচ করে থাকে রাজনৈতিক দলগুলি। ভোট পাওয়ার আশায় প্রার্থীরা ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করে।