পশ্চিমবঙ্গের সব বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণার পাশাপাশি রাজ্যকে অতি সংবেদনশীল ঘোষণার জন্য বিজেপি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে। এরই প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেস শুক্রবার থেকে ধর্মতলায় অবস্থান ধরণা শুরু করেছে। বিজেপি নেতারা একে অবশ্য নাটক আখ্যায়িত করেছেন। বুধবার দিল্লিতে কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতারা দেখা করার পরই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছিলেন, বিজেপি বাংলার মানুষকে অপমান করছে। বিজেপির মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। তিনি অভিযোগ করে বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি। গোটা দেশে বিজেপি সুপার ইমার্জেন্সি চালাচ্ছে। শুক্রবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার এই অবস্থান ধরণায় বসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সেলের নেতা ও কর্মীরা। মহিলা সেলের নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কোনো ভিত্তি নেই।
তারই তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্যে নির্বাচন জিততে চাইছে। চন্দ্রিমার মতে, বিজেপি নেতারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। ওরা যদি ভোটার পিছু একজন করেও আধা সেনা দেয় তাহলেও আমরাই জিতব। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব ভালো দাবি করে চন্দ্রিমা বলেছেন, বিজেপি রাজ্যকে অপমান করছে। এর প্রতিবাদেই এই ধরণা। হাতে মোদি ও কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী পোস্টার নিয়ে বহু মহিলা কর্মী এই ধরণায় অংশ নিয়েছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, নির্বাচনের প্রচারে সময় ব্যয় না করে তৃণমূল কংগ্রেস ধরণায় বলেছে। এই নাট বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি নেতারা নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে প্রতিটি বুথে চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারীকদের পরিবর্তে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকদের নেবার দাবি জানিয়েছেন তারা। বিজেপির অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ইতিহাস নেই। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১০০ জনের বেশি মানুষ হিংসার বলি হয়েছেন। বিরোধী দলগুলির জয়ী প্রার্থীরা পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে পারছেন না। বিজেপির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের কাছে নতুন করে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। কমিশনের এক সদস্য শনিবারই রাজ্যে এসে সব রাজনৈদিক দল ও প্রশাননের সর্বোচ্চ আধিকারীকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। কমিশনের কাছে কোনো রাজনৈতিক দল অভিযোগ জানালে, কমিশনকে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতেই হয়। এদিকে নির্বাচনের ২৫ দিন আগেই রাজ্যে আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা আসতে শুরু করেছেন। তারা টহল দেয়াও শুরু করছেন বলে জানা গেছে।