× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের ওপর হামলা, আটক ১০

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, উখিয়া থেকে
১৮ মার্চ ২০১৯, সোমবার

উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অদূরে অবস্থিত নৌকার মাঠের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্প ইনচার্জসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে রোহিঙ্গারা তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ৭-৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়লে রোহিঙ্গারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় সেনাসদস্য পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ১০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করতে সক্ষম হয়। শনিবার রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। আটক সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা হচ্ছে কুতুপালং ক্যাম্প-২ এর মো. ইসমাইল (২৩) পিতা আব্দুর রহিম, কুতুপালং ৬ এর মাহমুদ হোসেন (৩০) পিতা মোহাম্মদ জলিল, ক্যাম্প-২ এর মোহাম্মদ আলম (১৮) পিতা হাবিব উল্যাহ, মোহাম্মদ (২৯) পিতা ছৈয়দ আলম, ভুট্টু আলম (৫০) পিতা সাহাব মিয়া, ক্যাম্প-৭ এর মো. রফিক (১৪) পিতা শামসুল আলম, ক্যাম্প-৬ এর মোহাম্মদ ইউনুছ (১৮), পিতা মোহাম্মদ আইয়ুব, মোহাম্মদ রফিক (১৮) পিতা আলী আহম্মদ, মোহাম্মদ আমিন (১৮) পিতা দিল মোহাম্মদ, ক্যাম্প-৭ এর খায়ের মোহাম্মদ (৫৫) পিতা জাহেদ হোসেন। গতকাল দুপুর ১টার দিকে এ রিপোর্ট সংগ্রহকালে কুতুপালং ক্যাম্পের (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) দু’জন রোহিঙ্গা নাগরিক উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে সংঘটিত ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, কুতুপালং ক্যাম্পের ৮/৯ কিলোমিটার অদূরে জনমানবহীন নৌকার মাঠ এলাকাটি আল ইয়াকিন গ্রুপের নেতা ইসমাইল গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এক সময় সেখানে রোহিঙ্গা যুবকদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়া হতো।
তিন মাস আগে ইউনুছ পুলিশের হাতে আটক হওয়ার সুযোগে নৌকার মাঠ এলাকা দখল নেয় মিয়ানমারের বিদ্রোহী আরসা গ্রুপের লিডার মার্স নামধারী এক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। গত এক মাস ইউনুছ জেল থেকে ছাড়া পেয়ে নৌকার মাঠ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে ইতিপূর্বে উভয়পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাত আড়াইটার দিকে আল ইয়াকিনের লিডার ইউনুছ গ্রুপ নৌকার মাঠটি দখলে নিতে গেলে দু-গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সেনাসদস্যের সঙ্গে করে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উচ্ছৃঙ্খল রোহিঙ্গারা তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ৭-৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়লে রোহিঙ্গারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থল থেকে সেনাসদস্য ও পুলিশ ১০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে। প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশ কর্মকর্তা প্রভাত জানান, কালো হাফ প্যান্ট পরিহিত হাজার হাজার রোহিঙ্গা দা-কিরিজ নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল। মনে হচ্ছিল একটি রণক্ষেত্র।  উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, আটক ১০ জন রোহিঙ্গাকে পুলিশ এসল্ট মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে ক্যাম্প অভ্যন্তরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গারা জানিয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর