× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিলেটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের অফিস স্থাপন

দেশ বিদেশ

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
১৮ মার্চ ২০১৯, সোমবার

সিলেটে ব্যক্তিগত অফিস করতে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। সিলেট নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্স কিংবা তার পার্শ্ববর্তী স্থানে নিজস্ব জায়গায় তিনি এ অফিস নির্মাণ করবেন। সিলেটের মানুষের সুবিধার্থে এ অফিস চালু করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। বিগত ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ড. একে আবদুল মোমেন। এরপর তিনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এই দায়িত্ব পেয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ড. একে আবদুল মোমেন। বাংলাদেশ নানা কূটনীতিক সমস্যা দূরীকরণ, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি কখনো ঢাকায় কখনো বিদেশে সময় কাটাচ্ছেন। এতে করে তিনি সিলেটে আসছেন কম।
ভোটারদের সমস্যাসহ সুখ, দুঃখ শোনার সময় পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় সিলেটে নিজের একটি কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ঢাকায় না গিয়ে এই কার্যালয়ে গেলে মন্ত্রীর নিয়োজিত লোকদের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে। শনিবার সিলেটের সফরকালে ড. এ কে আবদুল মোমেন নিজেই জানিয়েছেন- ‘সিলেটের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠিয়েছেন। এর সুবাদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বড় দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি চাই সিলেটের উন্নয়ন। সিলেটবাসীর সুখ-দুঃখের খোঁজ রাখতে এবং তারা যাতে তাদের প্রয়োজনের কথা, ভালোমন্দের কথা আমাকে জানাতে পারেন- এ লক্ষ্যে সিলেটে একটি অফিস করতে যাচ্ছি।’ এদিকে সিলেটে অফিস খোলার আগে পররাষ্টমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন তার দুই ব্যক্তিগত সহকারীকে অফিসের দায়িত্বও দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সম্প্রতি নিজের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া জাবেদ সিরাজ ও আবুল হোসেনকে অফিসের দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। এই দুজন ড. মোমেনের জন্য নির্বাচনের আগে থেকেই অনেক শ্রম দিয়েছেন। যার মূল্যায়ন হিসেবে সমপ্রতি তাদের নিয়োগ দেন মন্ত্রী। জাবেদ সিরাজ সিলেট মহানগরীর ১৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি এর আগে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতেরও ব্যক্তিগত সহকারি হিসেবে কাজ করেছেন। মো. আবুল হোসেন একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী, তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য। শুক্রবার সিলেট নগরীতে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই দুজনকে পরিচয় করেও দিয়েছেন। তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আপনাদের ভাবার কোনো কারণ নেই। আপনাদের পরামর্শ, প্রয়োজনের কথা আমি শুনতে চাই। এজন্য জাবেদ ও আবুল হোসেনকে আমি সিলেট অফিসের দায়িত্ব দিচ্ছি। আপনারা যেকোনো সময় তাদের মাধ্যমে আমাকে জানাতে পারবেন।’ অফিস স্থাপন প্রসঙ্গে গতকাল বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের ব্যক্তিগত সহকারী জাভেদ সিরাজ মানবজমিনকে জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আগামী ২৯ তারিখ সিলেটে আসার কথা রয়েছে। ওই সফরে তিনি সিলেটের হাফিজ কমপ্লেক্স কিংবা তার পার্শ্ববর্তী স্থানে অফিস নির্মাণের জায়গা নির্বাচন করবেন। এরপর সেখানে অফিস নির্মাণ হয়ে গেয়ে গেলে কাজ শুরু হবে। আর এখনো যারা বিভিন্ন কাজে মন্ত্রীর সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সেটি করে দিচ্ছি। তিনি বলেন- নিজ এলাকা সিলেটের মানুষের সুখ, দুঃখের সঙ্গে থাকতেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অফিস স্থাপন করছেন। এদিকে এর আগে ড. একে আব্দুল মোমেনের বড় ভাই আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থমন্ত্রী হলেও তিনি অফিস স্থাপন করেননি। তবে নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সস্থ তার নিজ বাসার নিচতলার একটি কক্ষে মন্ত্রী সিলেটে এলে বসতেন। এবং সেখানে বসেই তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতেন। সিলেটে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমান সিলেটের নয়া সড়কের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বসে সাধারণ মানুষের সুখ, দুঃখের কথা শুনতেন। তবে তিনি ওখানে আনুষ্ঠানিক কোনো কার্যালয় খোলেননি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর