× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মুসলিম ও হিন্দু পরিবারের চির বন্ধন

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) মার্চ ১৮, ২০১৯, সোমবার, ১২:০৯ অপরাহ্ন

একটি মুসলিম ও একটি হিন্দু পরিবারের মধ্যে চিরদিনের এক বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে ভারতে। একটি পরিবার বিহারের। অন্যটি থানের। থানের পরিবারটি হলো নাদিম (৫১) এবং তার স্ত্রী নাজরিন প্যাটেল (৪৫)-এর। বিহারের পরিবারটির পুুরুষ রামস্বার্থ যাদব (৫৩) ও তার স্ত্রী সত্যদেবী (৪৫) কে নিয়ে। নাদিম ও রামস্বার্থ যাদবের কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় কোথাও কিডনি যোগাড় করতে পারছিলেন না তারা। এ অবস্থায় দুটি পরিবারের দুই নারী নাজরিন ও সত্যদেবী এগিয়ে এলেন।
তারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করলেন। ব্যস, একজন অন্যজনের স্বামীকে কিডনি দিতে রাজি হলেন। ফলে মুসলিম পরিবারের স্ত্রী নাজরিন প্যাটেলের কিডনি লাগিয়ে দেয়া হলো রামস্বার্থ যাদবের দেহে। আর হিন্দু নারী সত্যদেবীর কিডনি লাগিয়ে দেয়া হলো নাদিমের শরীরে। এরপর দু’জনের স্বামীই সুস্থ আছেন। তারা ভাল হয়ে উঠেছেন। আর এভাবেই সৃষ্টি হয়েছে হিন্দু-মুসলিমের এক সম্প্রীতির বন্ধন। এ খবর দিয়েছে অনলাইনটাইমস অব ইন্ডিয়া।

ছয় মাস আগে নিরোলজিস্ট ডা. হিমেল শাহ তাদেরকে কিডনি প্রতিস্থাপনে রাজি করান। ওই সময় থেকে তারা সব আইনি বাধা একসঙ্গে কাটিয়ে উঠতে থাকেন। আর শেষ পর্যন্ত গত সপ্তাহে সেই কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ১৪ই মার্চ সাইফি হাসপাতালে অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, এই দুটি পরিবারের কর্তাদের কিডনি রোগ ধরা পড়ে। বলা হয়, কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। তখন মাথায় হাত ওঠে তাদের। তারা কিডনি খুঁজতে থাকেন। কারো কাছে পান না কিডনি। ওদিকে রোগিদের অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে যেতে থাকে। এ অবস্থায় সাইফি হাসপাতালের নিউরোলজির বিভাগের প্রধান ডা. হিমেল শাহ এগিয়ে আসেন। তিনি পরিবার দুটির সঙ্গে কিডনি প্রতিস্থাপনের বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, রামস্বার্থের রক্তের গ্রুপ এ। অন্যদিকে নাজরিনের রক্তের গ্রুপও এ। আবার নাদিমের রক্তের গ্রুপ বি। রামস্বার্থের স্ত্রী সত্যদেবীর রক্তের গ্রুপও বি। ফলে ডা. হিমের প্রস্তাব দেন যদি দু’জন নারী তাদের কিডনি একজন অন্যজনের স্বামীকে দান করেন তাহলে তারা বেঁচে উঠতে পারেন। এমন আলোচনার পর এক মাস কেটে যায়। দুটি পরিবারের মধ্যে আলাপ আলোচনা চলতে থাকে। অবশেষে তারা রাজি হয়ে যান। রামস্বার্থের ছেলে সঞ্জয় বলেছে, আমার পিতার ডায়ালাইসিস চলছিল। তবু গত দুটি বছর তিনি প্রচন্ড বেদনা নিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। তাকে বাঁচানোর একটিই পথ ছিল কিডনি প্রতিস্থাপন। তাই জীবন ও মৃত্যুরে ক্ষেত্রে ধর্ম এখানে কোনো বাধা মনে হয় নি আমাদের কাছে। তিনি বলেন, তার পিতার চিকিৎসার জন্য আত্মীয়রা অর্থ সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু কেউ একজনও কিডনি দিতে রাজি হয় নি। নাজরিন আন্টিকে ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করা যাবে না।

তিনি বলেন নাদিম আঙ্কেলকে তার ডায়ালাইসিস সেন্টার ভুবনেশ্বরে স্থানান্তরিত করতে বলি। সেখানেই নাজরিন ও সত্যদেবীর মধ্যে কথাবার্তা হয়। তারা কিডনি প্রতিস্থাপনে রাজি হয়ে যান। এ জন্য প্রয়োজন হয় কাগপত্র তৈরি করা। বেশ কিছু সময় লাগে থাকে। এর মধ্য দিয়ে তারা একে অন্যের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে যান।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর