× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চলে গেলেন চিন্ময় রায়

বিনোদন

কলকাতা প্রতিনিধি
১৯ মার্চ ২০১৯, মঙ্গলবার

সাহিত্যিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের পটলডাঙ্গার টেনিদাকে যিনি পর্দায় জীবন্ত করে রেখেছেন সেই কিংবদন্তি অভিনেতা চিন্ময় রায় চলে গেলেন। রোববার রাতে নিজের ফ্ল্যাটেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৭৯ বছর। সাধারণভাবে কৌতুকাভিনেতা হিসেবেই তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। তবে নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে সুনাম কুড়িয়েছিলেন এ অভিনেতা। রুপালি পর্দায় আবির্ভূত হওয়ার আগে তিনি মঞ্চে নিয়মিত অভিনয় করেছেন। নান্দীকারের মতো গ্রুপ থিয়েটারের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। একসময় থিয়েটার থেকে সরে এসেছিলেন।
তার পরিবার সূত্রে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থ ছিলেন চিন্ময়বাবু। গত বছর জুন মাসে বাড়ির ছাদ থেকে  পড়ে গিয়েছিলেন। সে সময়ই তিনি মাথা, হাত ও পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন। দীর্ঘ চিকিৎসায় সেই অবস্থা সামাল দিয়েছিলেন। কিন্তু বার্ধক্যের কারণে কাবু ছিলেন তিনি। ১৯৪০ সালের ১৬ই জানুয়ারি চিন্ময় রায়ের জন্ম, বাংলাদেশের কুমিল্লায়। তপন সিংহের ‘গল্প হলেও সত্যি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম রুপালি পর্দায় আভির্ভাব। এর পর ‘বসন্ত বিলাপ’, ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘চারমূর্তি’, ‘মৌচাক ’, ‘হাটে বাজারে’, ‘ঠগিণী’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘সুবর্ণ গোলক’, ‘ওগো বধূ সুন্দরী’র মতো ছবিতে তিনি মাতিয়ে রেখেছিলেন দর্শকদের। নবদ্বীপ হালদার, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় বা তুলসী চক্রবর্তীর মতো কিংবদন্তি অভিনেতাদের পর বাংলা ছবিতে কমেডিয়ানের ভূমিকায় রবি ঘোষ বা অনুপকুমারের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছেন সমানে সমানে। তার প্রয়াণে বাংলা চলচ্চিত্রের একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর