সব আয়োজন ঠিকঠাক গোছালো। কিন্তু ভোট কেন্দ্রগুলো ফাঁকা। নেই ভোটার। সকাল থেকে বিকাল গড়ালেও বাড়েনি ভোটার উপস্থিতি। তাই কর্মস্থলে অনেকটা অলস সময় কাটাচ্ছেন ভোটগ্রহণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। জেলার অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অনেকটাই নিজেদের মধ্যে গল্প-গুজব করেই সময় পার করছেন। শহর আর গ্রাম। নারী কিংবা পুরুষ।
জেলাজুড়ে সব ভোটাররাই ভোট দিতে আসছেন না কেন্দ্রে। আর যে ভোট কাস্টিং হয়েছে সেখানেও পুরুষ ভোটাররা ভোট দিতে রয়েছেন এগিয়ে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার পৌর শহরের কাশিনাথ আলাউদ্দিন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজকেন্দ্রে সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত দু’টি বুথে ভোটও পড়েনি একটিও। ওই কেন্দ্রে দেখা যায় ৩ নং ও ৯ নং বুথে ভোটগ্রহণের দু’টি বাক্স শূন্য। দুই বুথে মোট ভোটার ৭৬১ জন। কিন্তু ভোট পড়েনি ১টিও। ৯ নং কক্ষে ভোটার ৩৬৪ জন। আর ৩ নং কক্ষের ভোটার ৩৯৭ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই দু’টি বুথের সহকারী প্রিজাইডিংয়ের দায়িত্বে থাকা শোকেষ চৌধুরী ও শর্মিলা সিনহা। কাশিনাথ আলাউদ্দিন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ৮ নং কক্ষে ৪৮৪ জন ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ৮টি। এই বুথের ভোটই ওই কেন্দ্রের সর্বোচ্চ ভোট। ৮ নং বুথের সহকারী প্রিজাইডিংয়ের দায়িত্বে আছেন মো. এনামুল কবির। বিকাল ৩টা পর্যন্ত কাশিনাথ আলাউদ্দিন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছে ২৩টি। এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার নিলাদ্রী শেখর দাস জানান, এই (মহিলা) কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২৯৯৭ জন। এই কেন্দ্রে মোট বুথ রয়েছে ৯টি।