× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সমালোচনাকারীদের দমনের নির্দেশ দিয়েছিলেন ক্রাউন প্রিন্স

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) মার্চ ১৯, ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন

রাজ পরিবারের সমালোচনাকারীদের মুখ বন্ধ করতে গোপন অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছিলেন সৌদি আরবের বিতর্কিত ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। দীর্ঘদিন অনুসন্ধানের পর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার এক বছরেরও অধিক সময় পূর্বেই এমবিএস নামে পরিচিত ক্রাউন প্রিন্স তার সমালোচনাকারীদের গোপনে শাস্তি দিতে এ নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরমধ্যে অন্যতম ছিল, নজরদারি, অপহরণ, গোপন কারাদণ্ড ও ভয়াবহ শারীরিক নির্যাতন। এমবিএসের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের খবর যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও আছে দাবি করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। আল জাজিরা জানিয়েছে, রোববার পূর্ণাঙ্গ এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে সংবাদপত্রটি।
টাইমস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বন্ধুরাষ্ট্র সৌদি আরবের এ ধরনের হস্তক্ষেপকে দ্রুত ব্যবস্থামূলক কার্যক্রম হিসেবে অভিহিত করত। গত বছর সৌদি সরকারের নির্যাতনে আত্মহত্যায় বাধ্য হন সেদেশের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। রাজ পরিবারের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘটনা সৌদি আরবে নতুন নয়।
কিন্তু ২০১৭ সালে ক্রাউন প্রিন্সের হাতে বেশিরভাগ ক্ষমতা যাওয়ার পর এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। সৌদি আরবের বাইরে থেকেও যারা সমালোচনায় লিপ্ত তাদেরকেও জোরপূর্বক অপহরণ ও নির্যাতনের মুখোমুখি করা হয়।
সমালোচনাকারীদের দমাতে যে দলটি কাজ করে তারা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ঘটনা সফলভাবে করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। এর মধ্যে অন্যতম গত বছরের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুল কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা। এই একই দল আরো কমপক্ষে এক ডজন গুপ্ত হামলা ও অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ২০১৭ সালের পর থেকে ক্রাউন প্রিন্সের নির্দেশে তারা এ অভিযানগুলো পরিচালনা করে। ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার পর বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি কর্মকর্তারা বারবার এ ঘটনার সঙ্গে সালমানের যুক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করলেও মার্কিন সিনেটররা ডনাল্ড ট্রাম্পের ওপর চাপ দিয়েছিলেন অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে। কিন্তু বন্ধুরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেননি ট্রাম্প। দেশটির সিনেটররা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে বলেছিলেন, মোহাম্মদ বিন সালমান যে জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা তার তথ্যপ্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। খাসোগি হত্যার পর দীর্ঘদিন এ ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা করে সৌদি আরব। কিন্তু একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে স্বীকার করে নেয় যে, সৌদি কনস্যুলেটেই হত্যা করা হয়েছে খাসোগিকে। তবে তার মরদেহ কোথায় রয়েছে সে বিষয়ে দেশটি কোনো তথ্য দেয়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর