× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এখনো ২৮% পোশাক কারখানায় বৈদ্যুতিক নিরাপত্তায় ত্রুটি

দেশ বিদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৯ মার্চ ২০১৯, মঙ্গলবার

রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ৬ বছর পার হলেও পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশ কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। এখনো অনেক ত্রুটি রয়ে গেছে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) হিসাব অনুযায়ী, এখনো অন্তত ২৩ শতাংশ কারখানা ভবনের কাঠামো ত্রুটিমুক্ত হয়নি। এ ছাড়া কারখানার অগ্নি প্রতিরোধ ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায়ও পূর্ণাঙ্গ অগ্রগতি হয়নি। বৈদ্যুতিক নিরাপত্তায় ত্রুটি রয়েছে ২৮ শতাংশ কারখানায়। আর অগ্নিনিরাপত্তা সংক্রান্ত ত্রুটি রয়েছে ১৩ শতাংশ কারখানায়। ডিআইএফই ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৫৫০টি গার্মেন্ট কারখানার কর্মপরিবেশের ওপর জরিপ চালিয়ে এ তথ্য পেয়েছে।
ডিআইএফই জরিপ চালানো কারখানাগুলোর মধ্যে তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত কারখানা ১ হাজার ৭১টি, বিকেএমইএ’র সদস্যভুক্ত ৪২৬টি ও কোনো সংগঠনের সদস্য নয়- এমন কারখানা ৫৩টি।

ডিআইএফই’র প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থার অগ্রগতিতে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র সদস্য বহির্ভূত কারখানাগুলো। এধরনের কারখানার মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থার মানদণ্ডে এখনো প্রায় অর্ধেক কারখানায় ত্রুটি রয়ে গেছে।
ডিআইএফই’র হিসাবে, বিজিএমইএভুক্ত কারখানা ভবনের কাঠামোগত নিরাপত্তায় ৭৯ শতাংশ কারখানা নিরাপদ। আর বিকেএমইএভুক্ত কারখানায় এই হার ৭৪ শতাংশ। এ ছাড়া দুটি সংগঠনের সদস্যভুক্ত কারখানার অগ্নি প্রতিরোধ সংক্রান্ত নিরাপত্তায় অগ্রগতি হয়েছে ৮৮ শতাংশ। আর বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সংস্কারে অগ্রগতি হয়েছে যথাক্রমে ৭২ শতাংশ ও ৭৫ শতাংশ। অর্থাৎ বাকি কারখানাগুলো অগ্নি ও বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ নিরাপদ নয়।
বিজিএমইএ’র দাবি, সংগঠনটির সদস্যভুক্ত সব কারখানা ভবনের কাঠামো শতভাগ নিরাপদ। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র সদস্যভুক্ত কোনো কারখানা ভবনের কাঠামো এখন অনিরাপদ নয়। বরং ডিআইএফই’র মূল্যায়নের মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
ডিআইএফই’র এক কর্মকর্তা বলেন, সংস্কারে পিছিয়ে থাকা কারখানাগুলোকে ইতিমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র সদস্যভুক্ত যেসব কারখানা সংস্কারে অনেক পিছিয়ে রয়েছে, তাদের ইউডি সেবা (ইউটিলিটি ডিক্লারেশন বা কাঁচামাল আমদানির প্রাপ্যতা) বন্ধ রাখার জন্য সংগঠন দুটিকে চিঠি পাঠিয়েছি। কোনো কোনো কারখানার ক্ষেত্রে লাইসেন্স নবায়ন স্থগিত রাখার জন্যও স্থানীয় প্রশাসনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
২০১৩ সালে সাভারে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানাগুলোর নিরাপত্তামানের দুর্বলতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপ ও আমেরিকাভিত্তিক ক্রেতাদের সমন্বয়ে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স নামে দুটি জোট তাদের পণ্য সরবরাহকারী কারখানা পরীক্ষা ও সংস্কার দেখভালের উদ্যোগ নেয়। ওই দুটি জোটের আওতাধীন প্রায় ২ হাজার ২০০ কারখানা গত সাড়ে ৫ বছরে ৯০ শতাংশের উপরে নিরাপত্তা ত্রুটির সংস্কারকাজ সম্পন্ন করেছে। এ দুটি জোটের বাইরে থাকা আরে দেড় হাজার কারখানা সংস্কারের উদ্যোগ নেয় সরকার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর