× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, রাষ্ট্র হবে গণতান্ত্রিক -ড. কামাল

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৯ মার্চ ২০১৯, মঙ্গলবার

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ১৬ কোটি মানুষের প্রেরণার উৎস। জনগণের স্বপ্ন পূরণে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। জনগণের স্বপ্নকে তিনি লিপিবদ্ধ করে গেছেন সংবিধানে। তার স্বপ্ন ছিল রাষ্ট্র হবে গণতান্ত্রিক। কিন্তু দেশে কি ষোলআনা গণতন্ত্র আছে? অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেশে হচ্ছে? আইনের শাসন আছে? আপনারা বলছেন না, কেন আমাদের না শুনতে হচ্ছে। ৪৮ বছর পরেও না না শুনতে হবে কেন? তিনি বলেন, এ গণতন্ত্রের জন্য কম মানুষ জীবন দেয়নি। এখনো জীবন দিয়ে যাচ্ছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষকে মূল্য দিতে হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখে গেছেন তার প্রতি সম্মান জানাতে হলে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শপথ নিতে হবে যেন সত্যিকার গণতন্ত্র দেশের মানুষ ভোগ করতে পারে। আপনারা গণতন্ত্র চান। এটা কেন শুনতে হচ্ছে। কেন ভোটাধিকার চান। কেন আমাদের জিম্মি থাকতে হয়। যাদের কারণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না তাদের বঙ্গবন্ধুর প্রতি আনুগত্য আছে কি না, সে প্রশ্ন করার সময় এসেছে। এদের এক ঘরে করতে হবে। চিহ্নিত করতে হবে যে এরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আগামী এক বছর পর আবার এ ধরনের আলোচনা সভায় আমরা যেন বলতে পারি ষোলআনা না হোক বারো আনা- গণতন্ত্র আছে, আইনের শাসন আছে এজন্য আমাদের শপথ নিতে হবে। প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় এটা পৌঁছে দিতে হবে। সোমবার বিকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুর পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন দুই নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও মফিজুল হক খান কামাল, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান, ড. রেজা কিবরিয়া ও  মেজর জেনারেল (অব.) আ ম সা আমিন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সার্ক ল’ইয়ার্স ফোরামের মহাসচিব মহসিন রশিদ গণফোরামের যোগ দেন।
অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, রাজনীতি থেকে নীতি চলে গেছে। বর্তমানে যেটা চলছে সেটা রাজচালাকি। ১৫ই আগস্টের কালো রাতে বঙ্গবন্দুকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন প্রতিমুহূর্তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলে যারা ক্ষমতায় আছে তারা মুখে বললেও কাজ করছে তার উল্টো। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমতাসীনরা বাক্সবন্দি করে রাখতে চায়। তারা মনে করে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু দলটির সম্পদ। অথচ আমরা বঙ্গবন্ধুকে ১৬ কোটি মানুষের বলে মনে করি। ডাকসু নির্বাচনও সুষ্ঠু করতে পারি না। শিক্ষকরা ভোটা ডাকাতিতে অংশ নেন। সেখানেও ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনের কালো ছায়া দেখা গেছে।  
মফিজুল হক খান কামাল বলেন, লুটপাট ও সন্ত্রাস বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হতে পারে না। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের জন্য মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম হয়নি। তথাকথিত আওয়ামী লীগাররা বঙ্গবন্ধুকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করছে। এদের কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করতে হবে। মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, এ দেশের মালিক জনগণ। জনগণকে তাদের মালিকানা বুঝে নিতে হবে। ভোটের মাধ্যমে মালিকানা বুঝে নেয়ার যে সুযোগ ছিল সেটাও নেই। দুর্ভাগ্য প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জনগণের ভোটের অধিকার চুরি করলো। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে এ কারণে বর্তমান সরকার জনগণের সরকার নয়। ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু এতো বড়ো মাপের নেতা ছিলেন যে জোসেফ টিটু, আনোয়ার সাদাত, ফিদেল ক্যাস্ট্রের মতো বিশ^ নেতাদের সঙ্গে মানাতো। উনার বড় ক্ষমতা ছিল নৈতিক ক্ষমতা।  উনার সাহস, দৃঢ়তা ও ধৈর্য প্রমাণ করে তিনি কত বড় নেতা ছিলেন। বিশ^ দরবারে তিনি বাংলাদেশকে মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে পরিচিত করে গেছেন। মোকাব্বির খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর আস্থাভাজন ছিলেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণে আমরা এগিয়ে যাব।


অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর