নিউজিল্যান্ডের মসজিদে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নেদারল্যান্ডসে বন্দুক হামলা চালিয়েছে এক ব্যক্তি। দেশটির ইউট্রেক্ট শহরে স্থানীয় সময় গতকাল সকালে ওই বন্দুকধারী যাত্রীবাহী একটি ট্রামে উদ্দেশ্যহীনভাবে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে ৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন শহরের মেয়র। আহত হয়েছেন আরো নয় জন। পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী একজন তুর্কী।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, গোকমেন তানিস নামের এক সন্দেহভাজন তুর্কী গতকাল ইউট্রেক্ট শহরের যাত্রীবাহী ট্রামে হামলা চালিয়েছে। এটিকে সন্ত্রাসী হামলা আখ্যা দিয়ে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অধিবাসীদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলেছে সরকার। বিমানবন্দরসহ সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে মসজিদগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের স্কুলগুলো বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পুলিশ হামলাকারী গোকমেন তানিসের ছবি প্রকাশ করে তাকে ধরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে জনসাধারণকে তার মুখোমুখি না হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।
তাকে ধরতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী সমন্বয়ক পিটার জাপ আলবার্সবার্গ বলেন, আমরা একটি সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা উড়িয়ে দিতে পারি না। বর্তমানে অনেক কিছুই পরিষ্কার না। প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান, সোমবার সকালে একাধিক জায়গায় গুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কোনো জায়গার নাম উল্লেখ করেন নি।
পুলিশের মুখপাত্র জুস্ট ল্যানসেজের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, গুলির পরপরই ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনীর হেলিকপ্টার ছুটে গেছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীর উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় টিভি চ্যানেলের খবরে বলা হচ্ছে, গোলাগুলির পরে ঘটনাস্থলে এক নারীকে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তার দেহ সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া ছিল। এ ছাড়া, আত্মরক্ষার্থে কয়েকজন ব্যক্তিকে দৌড়ে ওই জায়গা ত্যাগ করতে দেখা গেছে।
এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট। তিনি বলেন, ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে রক্তক্ষয়ী হামলার মাত্র তিনদিন পরে এ হামলায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।