× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রোহিঙ্গা নির্যাতন তদন্তে সেনা আদালত মিয়ানমারে

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) মার্চ ১৯, ২০১৯, মঙ্গলবার, ১২:৫৬ অপরাহ্ন

যাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, সেই সেনাবাহিনীই ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দমনপীড়নের অভিযোগ তদন্তে গঠন করেছে আদালত। এই আদালত গঠন করা হয়েছে একজন মেজর জেনারেল এবং দু’জন কর্নেলকে নিয়ে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নৃশংস নির্যাতন শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বৌদ্ধরা। এর ফলে জীবন বাঁচাতে কমপক্ষে ৭ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। জাতিসংঘ, মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সহ বিভিন্ন সংগঠন এ নৃশংসতার জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে দায়ী করে। বলা হয়, তারা জাতি নিধনের জন্য গণহত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে। এই অভিযোগ তদন্তের জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ওই আদালত গঠন করেছে বলে জানানো হয়েছে।


এ বিষয়ে দেশটির সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি দিয়েছে সেনাবাহিনী। তাতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ঘটনার আরো তদন্ত ও নিশ্চিত হওয়ার জন্য নি¤œলিখিত ব্যক্তিদের নিয়ে একটি ইনভেস্টিগেশন কোর্ট গঠন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রাখাইনের আরাকান সালভেশন আর্মি (আরসা) ২০১৭ সালে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের ঘাঁটিতে হামলা চালায়। তাতে বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন। এরপরই সেনাবাহিনী নিরস্ত্র, সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে নির্যাতন শুরু করে। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গত বছর বলেছে, সেনাবাহিনী এটা করেছে গণহত্যার উদ্দেশে। এ জন্য সেনাপ্রধান ও শীর্ষ অন্য ৫ জন জেনারেলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ভয়াবহ অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করে বিচার করার আহ্বান জানানো হয়।
তবে হত্যা, ধর্ষণ ও অন্যান্য অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার, যদিও সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং গত মাসে স্বীকার করেছেন ওই দমনপীড়নে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের কিছু সংখ্যক সদস্য যুক্ত ছিল।

সর্বশেষ সেনা আদালতের খবরে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্যাসিফিক বিষয়ক পরিচালক নিকোলাস বেকুইলিন। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক চাপকে কমিয়ে আনার জন্য এই নতুন আদালত আরেকটি বাজে উদাহরণ। আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ভয়াবহ অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সেনাবাহিনী। তারা কোনো সংস্কারই দেখাতে পারে নি। সেনাবাহিনী তার নিজের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে এর সবটাই বিপজ্জনক ও বিভ্রান্তিমুলক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর