ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার দু’সপ্তাহ আগে হ্যামিলটনের জামিয়া মসজিদের সামনে দেখা গিয়েছিল ব্রেনটন টেরেন্টকে। এমন সাক্ষ্য দিয়েছেন অনেকে। ফলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, কত বড় হামলা পরিকল্পনা নিয়েছিল সে।
ওয়াইকাতো মুসলিম এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ড. আসাদ মোহসিন বলেছেন, ব্রেনটন টেরেন্টের মতোই একজন ব্যক্তিকে ক্লাউডেল্যান্ডের জামিয়া মসজিদের সামনে দেখতে পেয়েছিলেন ওই মসজিদের দুই থেকে তিন জন সদস্য। এ সময় তার মাথায় একটি ক্যাপ ছিল। সে মসজিদের সীমানা নির্ধারণী বেড়ার পাশে দাঁড়িয়ে পত্রিকা পড়ছিল।
রোববার মসজিদ চত্বরে ‘কার বুট’ বিক্রি করা হয়। সেখানে গিয়েছিলেন কিছু মানুষ।
তারা বলেছেন, ওই সময়ে ব্রেনটনকে দেখেছেন তারা। তারা বিশ্বাস করেন, ব্রেনটন আশপাশের কোনো মোটেলে অবস্থান করছিল। ড. আসাদ মোহসিন বলেন, জামিয়া মসজিদে ব্রেনটনকে কবে দেখা গিয়েছিল সেই দিনটি তিনি সঠিকভাবে মনে করতে পারছেন না। তবে ওইদিন ব্রেনটনকে দেখে মনে হয় নি যে, সে উদ্ভট কোনো আচরণ করছে। তিনি বলেন, তাকে খুবই স্বাভাবিক দেখিয়েছে। আমি মনে করি, সে খুবই প্রশিক্ষিত। আমার মনে হয়, অ্যাকশনে যাওয়ার আগে সে অনেক গবেষণা করেছে, কিভাবে হামলা করা যাবে।
ড. মোহসিন বলেন, হ্যামিলটনের মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এটা একটি শক্তিশালী বিষয় মনে করিয়ে দেয়া যে, ক্রাইস্টচার্চে হামলার পরিবর্তে তারাও টার্গেট হতে পারতেন। তার ভাষায়, এ হামলার শিকার আমরাও হতে পারতাম। যদি হামলাকারী কোথায় বেশি মুসল্লি সমবেত হন এটা যাচাই করতে না যেতো তাহলে সে আমাদের ওপরেই হামলা করতো।
ব্রাউন্ডারি কোর্ট মোটর ইনকরপোরেশনের ম্যানেজার বিশাল তানেজা বলেছলেন, ব্রেনটন মোটেলে ছিলেন এ বিষয়ে তিনি জানেন না। তার কাছে ওই নামে কোনো গেস্টের রেকর্ড নেই। তবে তিনি এ বিষয়ে আরো জানার জন্য মোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন।