একের পর এক দুঃসংবাদ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জন্য। দুর্নীতির ইস্যুতে সম্প্রতি দু’জন মন্ত্রী পদত্যাগ করায় এমনিতেই তিনি চাপে পড়েছেন, তার ওপর তার শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা মাইকেল ওয়ারনিক আরো বিপদসংকেত বাজিয়ে দিয়েছেন। প্রাইভি কাউন্সিলের শীর্ষ কর্মকর্তা মাইকেল ওয়ারনিক। রাজনৈতিক সঙ্কট আষ্টেপৃষ্ঠে চেপে ধরেছে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে। এ সঙ্কট তিনি যেভাবে মোকাবিলা করছেন তাতে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাইকেল ওয়ারনিক। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
মাইকেল ওয়ারনিক জানিয়ে দিয়েছেন আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই তিনি অবশ্যই পদত্যাগ করবেন।
সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের কারণে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এসএনসি-লাভালিন নামের একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির বিষয়ে জুড়ে দেয়া হয়েছে জাস্টিন ট্রুডোর নাম। ওই কোম্পানিটি লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির সময়ে একটি কাজ পেতে সেদেশের নেতাদের ঘুষ দিয়েছিল বলে অভিযোগ আছে। সেই অভিযোগে এসএনসি-লাভালিনের বিরুদ্ধে মামলা আছে কানাডায়। কিন্তু সেই মামলায় হস্তক্ষেপ করার জন্য সাবেক এনর্টি জেনারেল ও আইনমন্ত্রী জোডি উইলসন-রেবোল্ডকে চাপ দিয়েছিলেন ট্রুডোÑ এই অভিযোগে জোরালো আকার ধারণ করে। এক পর্যায়ে ওই মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। ফলে জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগ দাবি জোরালো হয়। এখনও সেই দাবি অব্যাহত আছে। এর মূল্য দিতে গিয়ে ট্রুডোকে হারাতে হয়েছে দু’জন শীর্ষ স্থানীয় মন্ত্রীকে।
জোডি উউলসন রেবোল্ড বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ও তার ঘনিষ্ঠ মহল, বিশেষ করে মাইকেল ওয়ারনিকের পক্ষ থেকে রাজনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছিল ওই মামলায়। এসএনসি-লাভালিনের বিরুদ্ধে বিচারকে স্থগিত করাতে চুক্তি করা হবে কিনা সে বিষয়ে চাপ দেয়া হয়।
এ অবস্থায় সোমবার ট্রুডোকে একটি চিঠি লিখেছেন মাইকেল ওয়ারনিক। এতে তিনি বলেছেন, এটা পরিষ্কার যে, বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক বজার রাখার মতো আর কোনো পথ খোলা নেই আমার জন্য। আমি যে পদে আছি এটা সব মানুষের সমান সেবা দেয়ার জন্য।