× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিরল রোগে আক্রান্ত আদু

বাংলারজমিন

মো. নজরুল ইসলাম, মধুপুর (টাঙ্গাইল) থেকে
২০ মার্চ ২০১৯, বুধবার

মধুপুরে বিরল রোগে আক্রান্ত মো. আবদুল হাই ওরফে আদু (২০)। সে উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের শালিকা গ্রামের মো. নূরুল ইসলামের মেজ ছেলে। ভালো নাম আবদুল হাই হলেও গ্রামের সবাই তাকে আদু বলেই ডাকেন। আদুর বাম চোখের উপর হতে গাল বেয়ে এমনভাবে মাংস ঝুলে পড়ছে যেন বটগাছ থেকে বর নেমেছে। অচেনা কেউ আদুকে দেখলেই ভয়ে দৌড়ে পালায়। আদু বাড়ির পাশে মনোহরি  দোকান দিয়ে বসেছে। সে যেই জায়গায় বসে দোকান করে স্থানীয়রা তার নামানুসারেই সেই জায়গার নাম দিয়েছেন আদুর মোড়।
গত সোমবার সরজমিন আদুর মোড়ে গিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। আদুর বাবা নূরুল ইসলাম জানান, জন্মের পর ভালোই ছিল আদু।
কিন্তু পাঁচ বছর পর হঠাৎ করে ওর বাম চোখে চুলকানি হয়। চোখ দিয়ে পানি পড়ে। মধুপুর নিয়ে হোমিও ওষুধ খাওয়ালে কয়েকদিন পর আক্রান্ত চোখ ফেটে রক্ত পড়া শুরু করে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় আদুকে। টানা এক মাস চিকিৎসার পর তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
অসচ্ছল পরিবার হওয়ায় আর চিকিৎসা করানো হয়নি আদুকে। ওর ৭-৮ বছর বয়স থেকে আস্তে আস্তে চোখ ঢেকে মাংস ঝুলে পড়তে থাকে। ক্রমে মুখের বামপাশের পুরোটাই বিকৃতি হয়ে যায়। অবশেষে চিকিৎসা ছেড়েই দেন দরিদ্র পিতা-মাতা। প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা ও মনোহরি দোকানের টাকা দিয়েই চলে আদুর সংসার। আদু জানায়, বাইরে বের হলে লোকজনের মাঝে বিব্রত হতে হয় তাকে। তার ডান পাও ভেঙে পুঙ্গ হয়ে গেছে। লাঠিতে ভর করেই চলতে হয় তাকে। বড় ভাই বিয়ে করে আলাদা সংসার পেতেছে। ছোট বোনকে পড়াশোনা করাচ্ছেন এভাবেই। আক্রান্ত স্থানে কোনো প্রকার ব্যথা করে না, তবে মাঝে মাঝে বাম চোখ দিয়ে পানি ঝরে। বেতবাড়ী গ্রামের কাঠমিস্ত্রী মো. ফারুক আহম্মেদ জানান, ভালো চিকিৎসা করাতে পারলে হয়তো আদু ভালো হয়ে যেত। তার পরিবারের পক্ষে উন্নত চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই। গত বৃহস্পতিবার চাপড়ি বাজারের গণেশ জুয়েলার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুব্রত কর্মকার জানান, বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবন্ধী হলেও সে ভিক্ষাবৃত্তি না করে কাজ করে খাচ্ছে। এটা খুব ভালো। মহিষমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবদুল মোতালেব জানান, বিরল রোগে আক্রান্ত আদুকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর