দীর্ঘ অর্ধশত বছরেরও বেশি সময় দুরারোগ্য গুটি রোগে ভুগছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের মৃত মকরম আলীর ছেলে মো. আবদুল জলিল (৬৫)। তার মুখমণ্ডল, হাত পাসহ সমস্ত শরীরে আলুর মতো গুটি রোগে ভরে গেছে। আবদুল জলিল জানান, ১৩ বছর বয়স থেকে তার শরীরে ২/১টি করে গুটি উঠতে শুরু করে। দীর্ঘ ৫২ বছরে এখন তা সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক ডাক্তার, কবিরাজ দেখানোর পরও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় চিকিৎসার আশা ছেড়ে দিয়েছিন। তিনি আরো জানান, আমি গরিব বলে অর্থাভাবে ভালো কোনো হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারিনি। আর ওই সময়ে তেমন কোনো ভালো ডাক্তারও ছিল না। তাছাড়া সে সময়ে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা সহজলভ্য ছিল না।
ফলে স্থানীয় কবিরাজের শরণাপন্ন হই। এতে রোগ নিরাময় না হয়ে আরো বাড়তে থাকে। তবে সমাজের কোনো সদয় বিত্তশালী ব্যক্তি যদি আমাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়া দেন। অথবা দেশবরেণ্য চিকিৎসকরা একটু আমার প্রতি সহানুভূতিশীল হন তাহলে হয়তো আমার এই রোগ নিরাময় হলে হতেও পারে। এ রোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, গরমের সময় শরীরে কোন কাপড় রাখা যায় না। খালি গায়ে থাকতে হয়। শীতকালে হালকা কাপড় ব্যবহার করা গেলেও খালি রোদে থাকতে ভালো লাগে। জলিলের ধারণা, সরকারিভাবে তার এ রোগটি নির্ণয় বা পরীক্ষা করা গেলে তা প্রকৃতপক্ষে শনাক্ত হয়েও চিকিৎসা মিলতে পারে।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. ইয়াহিয়া কামাল বলেন, এ রোগের নাম নিউরো ফাইবরো ম্যাটোসিস। এটি একটি জেনিটিক রোগ। এটা চিকিৎসায় তেমন একটা ভালো হয় না। তারপরেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।