বরগুনা সদর উপজেলার ২নং গৌরিচন্না ইউনিয়নের বদরখালী গ্রামের বাসিন্দা মো. সিদ্দিক গাজী অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রীকে ধর্ষণ শেষে ঘরের মালামাল লুট করে নিয়েছে ধর্ষণকারীরা। আহত গৃহবধূকে তার স্বজনরা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিদ্দিক গাজীর নিজ বসত ঘরে। আহতের স্বামী সিদ্দিক গাজীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে একই গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা রুবেল, অসিম, আবুল ও দুলাল সরদার এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। সিদ্দিক গাজীর বক্তব্য, তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে ঘরে ফেলে রেখে ট্রাঙ্কের নগদ টাকা, স্বর্ণের অলংকারসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছেন। সিদ্দিক গাজীর মেয়ে আমেনা জানান, আমি রাতে প্রাইভেট শেষে ঘরে আসার পর দেখি আমার মা ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। এরপর দেখি রুবেল মামায় মায়ের শরীর মোবাইলে ভিডিও করতেছে। আমি ভয় পেয়ে মাকে মাটি থেকে তুলে চৌকিতে রাখি। সেই থেকেই আমার মা অজ্ঞান হয়ে আছে। পুলিশ এসে আমাদেরকে সহায়তা করেছে বলেও জানায় আমেনা। এ ব্যাপারে ৩ নং ফুলঝুড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বলেন, ঘটনাস্থল ২ কিলোমিটারের মধ্যে হলে ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা করতে পারতাম। বরগুনা সদর থানায় যোগাযোগ করুন। ওই এলাকার ইউপি সদস্য শাহ জালাল বলেন, ধর্ষণে আহত সেই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে তাদের আত্মীয়রা। তবে পুলিশ তদন্ত করে বলতে পারবে আসলে এ ঘটনার রহস্য কি। এ ব্যাপারে বরগুনা সদর থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।