পঞ্চগড়ের দেবিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রশাসনের সহায়তায় ভোট কারচুপির মাধ্যমে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করার অভিযোগ এনে ভোট পুনঃগণনার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. হাসনাত জামান চৌধুরী জজ। পঞ্চগড়ের রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত জামান চৌধুরী জজ গত ১০ই মার্চ অনুষ্ঠিত দেবিগঞ্জ উপজেলার মোট ৬৭টি ভোটকেন্দ্রের ভোট পুনঃগণনা করে সঠিক ফলাফল প্রকাশের দাবি জানান। দেবিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অভিযোগ করেন প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গণনার পূর্বেই তার এজেন্টদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয় এবং তার প্রাপ্ত ভোটের হিসাবও সঠিকভাবে দেয়া হয়নি।
তিনি অভিযোগে আরো বলেন, জনগণের ভোটে জয়লাভ করার পরও ভোট গণনায় অনিয়মপূর্বক আমার বিপক্ষে ফলাফল প্রদান করা হয়েছে। অভিযোগে তিনি আরো বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা ও কোনো লিখিত অভিযোগ নেই, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও নেই। উদ্দেশ্য শুধুমাত্র নৌকা মার্কায় ভোট করতে না দেয়া। শুধু তাই নয়, চিলাহাটি ইউনিয়নের মাঝিয়ালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা মার্কার এজেন্ট ফলাফলের তালিকা চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হেলমেট পরিয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। পরে ফলাফল পাওয়ার পর দেখা যায় ভোটকেন্দ্রে মোট ১১২২ ভোটগ্রহণ হয়।
প্রাপ্ত ফলাফল ও বাতিল ভোটসহ দাঁড়ায় ১২০৫টি। অবশিষ্ট ৮৩টি ভোট বা ব্যালট পেপার গায়েবিভাবে ভোট হয়ে যায়। এ ছাড়াও টেপ্রীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা প্রতীকে ৪১৯ ভোট দেখানো হয়। অথচ প্রাপ্ত এজেন্টদের তথ্য মোতাবেক ২০০ ভোট কম দেখানো হয়। প্রশাসনিক বিভাগ প্রভাবিত হয়ে একাধিক অনিয়মের ঘটনা ঘটিয়ে সঠিকভাবে ভোট গণনা করেনি এবং ফলাফলও সঠিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন হাসনাত জামান।