× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লক্ষ্মীপুরে ১৮ জেলের জেল-জরিমানা

বাংলারজমিন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
২০ মার্চ ২০১৯, বুধবার

 নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ ধরার অপরাধে লক্ষ্মীপুরে ১৮ জেলেকে জেল-জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার রাতে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা মুস্তফা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ৪ জেলেকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১৪ জেলের প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। এর আগে মজুচৌধুরীর হাটের মেঘনা নদীতে মৎস্য বিভাগের নেতৃত্বে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় ৬টি ইঞ্জিনচালিত মাছ ধরার নৌকা ও ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হচ্ছে কমলনগর উপজেলার মতিরহাট এলাকার কাসেম মাঝির ছেলে সাহাবুদ্দিন, মিলন মাঝির ছেলে নুর সোলায়মান, মৃত আবদুল হাসেমের ছেলে হোসেন আহমদ ও সিদ্দিক পাটওয়ারীর ছেলে আবু ছায়েদ। সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহমিদা মুস্তফা জানান, মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ অনুযায়ী ৪ জেলেকে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১৪ জেলের প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া ৬টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। উল্লেখ্য, জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ১লা মার্চ থেকে ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস নদীতে সকল ধরনের জাল ফেলা ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১শ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই একশ’ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় সব রকমের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও মজুদকরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর