আমিনুল ইসলাম রিপন বাহুবল উপজেলা ছাত্রলীগের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। আছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে। দরিদ্র শ্রমজীবী পিতার জ্যেষ্ঠ সন্তান আমিনুল ইসলাম রিপন উপজেলার মিরপুর আলিফ-সোবহান চৌধুরী কলেজে পড়াশোনা করছেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষার্থী তিনি। ওষুধ কোম্পানিতে খণ্ডকালীন কাজ করার মাধ্যমে লেখাপড়ার খরচ যোগান দিয়ে যাচ্ছেন। লেখাপড়া ও খণ্ডকালীন চাকরির মাঝেই তিনি রাজনৈতিক দায়িত্বও সামলে যাচ্ছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। লেখাপড়া শেষ করে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারে সচ্ছলতা আনবেন- এমন আটপৌরে স্বপ্ন নিয়েই এগোচ্ছেন এ তরুণ। সবার প্রিয় এ তরুণ ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী।
অস্ত্রোপচার অতি জরুরি হওয়া সত্ত্বেও অর্থাভাবে হাসপাতালেই ভর্তি হবার সাহস পাচ্ছেন না। ব্যক্তিত্ববান এ ছাত্রনেতা সরাসরি কারো সাহায্যও চাইতে পারছেন না। তার পিতাসহ পরিবারের সদস্যরা কঠিন অনিশ্চয়তার মাঝে দিন যাপন করছেন। তাদের প্রশ্ন, রিপনের কী চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে না! সে কী আবার স্বভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে না? না কি চোখের সামনেই টগবকে যুবকের স্বপ্নগুলো কলিতে ম্লান হয়ে যাবে? একই প্রশ্ন তার সহপাঠী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের। তাই, তারা তার সুচিকিৎসার জন্য সরকার ও বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন। আসুন, আমরা দরিদ্র পিতার এক প্রতিভাবান সন্তানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসি। তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭১৭-৬১৭২৮৭ নম্বর মুঠোফোনে।
বাহুবল উপজেলা সদরের উজিরপুর গ্রামের মো. ফুল মিয়ার পুত্র আমিনুল ইসলাম রিপন ৪ ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়। কিছুদিন পূর্বে সে মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন। পরে তার দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করলে চোখের চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে নিউরোসার্জারি চিকিৎসকের কাছে প্রেরণ করা হয়। ঢাকার ধানমণ্ডিস্থ মেডিনোভা হাসপাতালের নিউরোসার্জন ডা. আনোয়ার উল্লার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিতে গিয়ে তার ব্রেইন টিউমার ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার সার্জারি সম্পন্ন করাসহ আনুষাঙ্গিক খরচ বাবদ প্রায় ৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। এটা জানার পর থেকেই ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম রিপন চোখে সরষে ফুল দেখতে শুরু করেছেন। তার পৈতৃক সম্পদ বলতে ভিটাবাড়ি ছাড়া কিছু নেই। ফলে চিকিৎসা সম্পন্ন করার মতো আশার আলোও দেখছেন না তিনি। অসহায় এ ছাত্রনেতা মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য চেয়েছেন।