জুড়ীতে উপজেলা নির্বাচনী সহিংসতায় ২ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং শাকিল (১৮) নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। এ ছাড়াও সংঘর্ষে রাজেশ দাশ মিঠু (২৭) ও তপু রঞ্জন দাশ (২৮) নামের আরো ২ জন আহত হয়েছে। জানা গেছে, গত সোমবার জুড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ও গণনা সফল ভাবে শেষ হয়। বিকাল ৫টার পর থেকে উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার অসীম চন্দ্র বণিকের কাছে প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক ফলাফল আসতে শুরু করে। রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৪১টি কেন্দ্রের সকল ফলাফল নির্বাচন কমিশনে ই-মেইলের মাধ্যমে প্রেরণ করার পর ১০টায় বেসরকারি ভাবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার অসীম চন্দ্র বণিক। এ ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে এম.এ মোঈদ ফারুক, ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাশ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রনজিতা শর্মাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তখন বই প্রতীকের প্রার্থী জুয়েল আহমদ ও তার সমর্থকরা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে টিউবওয়েল প্রতীকের বিজয়ী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রিংকু রঞ্জন দাশের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গুলির শব্দে লোকজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। তখন এক পক্ষের গুলিতে শাকিল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে সংঘর্ষে বিবদমান পক্ষদ্বয়কে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে গুরুতর আহত শাকিলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরপর মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল (বিপিএম. পিপিএম সেবা) ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নিদের্শ দেন। জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, এই ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে এবং জড়িত ২ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।