দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় কয়েক মাস আগে চৌদ্দ বছরের এক মেয়েকে জোর করে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী আব্দুন নূর। বর্তমানে মেয়েটি নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গণিগঞ্জ গ্রামের এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ধর্ষক আব্দুন নূর ও কবির আহমদ নামে দুজনকে আটক করেছে। পরিবারের লোকজন জানান, দরিদ্র পরিবারের ওই শিশুটিকে ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিশ বসে। ধর্ষক আব্দুন নূরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং দেড় মাস পর ওই মেয়েটির সঙ্গে তার বিয়ের রায় হয়। কিন্তু পরে আর বিয়ে হয়নি। জরিমানার পুরো টাকায় পায়নি মেয়েটির পরিবার।
নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে নিয়ে মা-বাবা বিপাকে পড়েছেন। সোমবার থানায় মামলা করেছেন ওই মেয়ের মা। মেয়েটির শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা-সংক্রান্ত কাগজপত্র অনুযায়ী আগামী ৫ই এপ্রিল মেয়েটির সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য দিন। অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটির মা জানান, তাদের দুই মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে বড় মেয়ের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি এবং তার স্বামী কাজে বাইরে থাকার সুযোগে প্রতিবেশী আব্দুন নূর একদিন ঘরে ঢুকে জোর করে তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। পরে একইভাবে আব্দুন নূর মেয়েটিকে আরো কয়েকদিন ধর্ষণ করেছেন। ঘটনার চারমাস পর তিনি একদিন মেয়েকে কাঁদতে দেখে কী হয়েছে জানতে চান। পরে মেয়ে সব খুলে বলে। এরপর তাকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে জানা যায় সে অন্তঃসত্তা। এরপর তিনি গ্রামের মানুষদের বিষয়টি জানান। মেয়েটির মা আরও জানান, বিচারের সময় যারা মূল ভূমিকায় ছিলেন তারাও পরে আর কোনো খোঁজ নেননি। একপর্যায়ে আব্দুন নূরের ভাতিজা কবির আহমদ এ নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করতে তাদের হুমকি দেয়। তিনি বলেন, আমি গরিব মানুষ। ছেলেমেয়েদের নিয়ে একবেলা খেলে আরেক বেলা উপাস থাকতে হয়। মেয়ের বাবাও সহজ-সরল। কী করব বুঝতে পারিনি। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা ঘটনা শুনেই ওই গ্রামে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। ঘটনার মূল হোতা আব্দুন নূর ও তার ভাতিজা কবির আহমদকে প্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।