× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তিন ম্যাচ পর হারলো মোহামেডান

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২০ মার্চ ২০১৯, বুধবার

ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে টানা তিন ম্যাচ জিতে উড়ছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তবে চতুর্থ রাউন্ডে এসে হোঁচট খায় ঢাকা ক্লাব ক্রিকেটের ঐতিহ্যবাহী দলটি। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কাছে ৪ উইকেটে হার দেখে তারা। মোহামেডানের ছুড়ে দেয়া ২৯৬ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করে এই জয় তুলে নেয় রূপগঞ্জ। ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরিতে মোহামেডানকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান আবদুল মজিদ। শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রানের গতি বাড়ান নাদিফ চৌধুরী ও চতুরঙ্গা ডি সিলভা। তবে ম্যাচসেরা নাঈম ইসলামের দুর্দান্ত ৮৫ ও মুমিনুল হকের ফিফটিতে সেই লক্ষ্য তাড়া করতে সক্ষম হয় রূপগঞ্জ। মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে অবশ্য দারুণ লড়াই জামিয়ে তুলেছিল দুই দলই।
অন্যদিকে দিনের আরেক ম্যাচে টানা চতুর্থ জয়ের দেখা পেয়েছে আবাহনী। গতকাল ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শাইনপুকুরকে ৫ উইকেটে হারায় তারা। চতুর্থ রাউন্ডে অন্যতম আকর্ষণ ছিল নিউজিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলা থেকে ভাগ্যজোরে বেঁচে আসা ক্রিকেটারদের খেলা। এই দিন জাতীয় দলের পাঁচ ক্রিকেটার খেলতে নামেন মাঠে।
টসে জিতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের অধিনায়ক নাঈম মোহামেডানকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। দলীয় ১৩ রানের সময় অভিষেক মিত্র আউট হলে তার সিদ্ধান্ত সঠিকই মনে হচ্ছিল। তবে সবকিছু বদলে দেয় আবদুর মজিদ। ব্যাট হাতে ১২৬ বলে খেলেন ১০৭ রানের দারুণ এক ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ৩ ছয়ের মার। শেষদিকে নাদিফ চৌধুরীর ৪৭ বলে ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংস মোহামেডানকে নিয়ে যায় তিনশর কাছাকাছি। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ২৯৫ রান। জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রূপগঞ্জেরও। দলের মাত্র ৮ রানের সময় ওপেনার আজমির আহমেদ আউট হন। দলের জন্য তার অবদান ৩ রান। এরপর কিছুটা হাল ধরেন মুমিনুলের সঙ্গে আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। নিজের ৩৩ রানের সময় তিনিও হাল ছাড়েন। তবে নিউজিল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে ব্যর্থ মুমিনুল এদিন ব্যাটে ঝড় তোলেন। ৫৪ বলে খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস। তবে তিনি আউট হওয়ার পর বিপদেই পড়েছিল দল। ১২২ রানে ৪ উইকেট হারানো রূপগঞ্জ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক নাঈম ও ধাওয়ানের ব্যাটে। পঞ্চম উইকেটে অভিজ্ঞ দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান গড়েন ৯৯ রানের জুটি। ৫১ রান করে ধাওয়ান ফিরলে এই জুটি ভাঙে। ভারতীয় এই অলরাউন্ডার ৬১ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় সাজান তার ইনিংস। এরপর রকিবুলের সরাসরি থ্রোয় রান আউট হয়ে থামেন নাঈম। ৯২ বলে খেলা তার ৮৫ রানের ইনিংস। শেষদিকে মুক্তার আলীকে নিয়ে বাকি কাজটা সহজেই সারেন জাকের। ডানহাতি ওই ব্যাটসম্যান ২৬ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে করেন ৩৪ রান।
টানা চার জয়ে শীর্ষে আবাহনী
ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে ৫ উইকেটে জিতেছে আবাহনী। ২০৪ রানের লক্ষ্য ৯ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় মোসাদ্দেক হোসেনের দল। তাতে টানা চতুর্থ হারের স্বাদ পায় শাইনপুকুর। শুরুতে রুবেল হোসেনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে খেই হারায় শাইনপুকুর। বাকি কাজটি সারেন স্পিনাররা। অধিনায়ক মোসাদ্দেক ৩টি ও নাজমুল ইসলাম অপু নেন ২টি করে উইকেট। যদিও তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ৮১ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন আফিফ হোসেন। তবে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা শাইনপুকুর অধিনায়ককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মোসাদ্দেক। ৫৭ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে যান আফিফ। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৬২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে আবাহনীকে দারুণ শুরু এনে দেন ৪১ বছর বয়সী ভারতীয় ব্যাটসম্যান ওয়াসিম জাফর। নিউজিল্যান্ড থেকে ফিরে লীগে নিজের প্রথম ম্যাচে নামা সৌম্যকে বোল্ড করে থামান শুভাগত হোম চৌধুরী। বাঁহাতি ওপেনারের ৫৭ বলে খেলা ৩৩ রানের ইনিংসটি গড়া একটি করে ছক্কা-চারে। তবে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৮৫ রানের আরেকটি জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন জাফর। ৫২ বলে ৪২ রান করা শান্তকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। তরুণ এই পেসার পরে ফিরিয়ে দেন জাফরকেও। ভারতীয় অভিজ্ঞ এই ওপেনার ১০৬ বলে চারটি চারে করেন ৭৬ রান। মোসাদ্দেককে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান শরিফুল। রান আউট হয়ে ফিরে যান নিউজিল্যান্ড থেকে ফেরা আরেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুনও। বাকি কাজটা সহজেই সারেন সাব্বির রহমান রুম্মান। তাকে সঙ্গ দেন মুনিম শাহরিয়ার। দুই চারে ২৩ বলে ২১ রান করেন মুনিম। এক চারে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন সাব্বির। ৪৪ রানে ৩ উইকেট নেন শাইনপুকুরের বাঁহাতি পেসার শরিফুল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর