× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছেন তামিমরা’

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২০ মার্চ ২০১৯, বুধবার

ক্রাইস্টচার্চের সন্ত্রাসী হামলার দৃশ্য স্বচক্ষে দেখেননি বাংলাদেশ দলের স্পিন উপদেষ্টা সুনীল যোশি। ঘটনার সময় টিম হোটেলে ছিলেন যোশি। তবে মৃত্যুর মুখ থেকে কপালগুণে বেঁচে ফেরা ক্রিকেটারদের আতঙ্কিত চেহারায় সেদিন ভয়াবহতা দেখেছিলেন তিনি। টিম হোটেলে তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রাহীমদের ঘটনা পরবর্তী সময়টা কীভাবে কেটেছিল, ভারতীয় গণমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র কাছে তারই বর্ণনা দিয়েছেন যোশি।
২০১৭ সালের আগস্ট হতে বাংলাদেশ দলের স্পিন উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা যোশি বর্তমানে নিজ দেশ ভারতে অবস্থান করছেন। ঘটনার পর নিউজিল্যান্ডের ভারতীয় দূতাবাসের সহায়তায় দেশে ফেরেন তিনি। যোশি বলেন, ‘দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলটের ফোনে এই মর্মান্তিক ঘটনার কথা প্রথম জানতে পারি। তিনি বলছিলেন, ‘মসজিদে গোলাগুলি হচ্ছে, আমাদের কারোর বাইরে যাওয়া উচিত হবে না।’ এই ঘটনা সবাইকে নাড়িয়ে দেয়।
আমি কয়েকজনের সঙ্গে টিম হোটেলে ছিলাম। কারণ আমি স্টেডিয়ামে লাঞ্চ করতে চাইনি। লাঞ্চের পর সংবাদ সম্মেলন ও নামাজ শেষে হোটেলে আমাদের নেয়ার কথা ছিল টিম বাসের।’
ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর টিম হোটেলে ফেরেন ক্রিকেটাররা। ৪৮ বছর বয়সী যোশির ভাষায়, ‘হোটেলে ফেরার পর তারা একে-অপরকে বুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছে। রাস্তায় পরে থাকা মৃতদেহ, রক্তাক্ত আহত মানুষের আর্তনাদ তাদের তাড়া করে ফিরেছে। তারা ফেরার পর আমরা সবাই একসঙ্গে ছিলাম। মাঝ রাত পেরিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ তাদের নিজেদের রুমে যেতে চায়নি।’
বাংলাদেশ দলের টিম বাস যখন ক্রাইস্টচার্চের আন-নূর জামে মসজিদের কাছে পৌঁছায় তখন একজন মহিলা তাদের সর্তক করেন। যোশি মনে করেন, তামিমদের বেঁচে ফেরার পেছনে ভাগ্য আর ওই মহিলার বিশেষ ভূমিকা ছিল। যোশি বলেন, ‘ভাগ্য সেদিন অনেক বড় ভূমিকা রেখেছিল। সংবাদ সম্মেলতে হতে একটু বিলম্ব হয়। এতে খেলোয়াড়দেরও মসজিদে যেতেও দেরি হয়। তাদেরকে অস্ত্রধারীর ব্যাপারে সতর্ক করে ওই মহিলাই জীবন বাঁচিয়েছেন।’
ক্রাইস্টচার্চের ঘটনা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য বড় মানসিক ধাক্কা। বিশেষ করে দলের ৪-৫ জন ক্রিকেটার বেশি ভেঙে পড়েছেন। এই মানসিক বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসতে সময় প্রয়োজন বলে মনে করেন যোশি, ‘দল কীসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। দলের খেলোয়াড় ও স্টাফরা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। এটা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। এসব ক্ষেত্রে সময়ই মহৌষধ।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দু’টি পৃথক মসজিদে বন্দুকধারীর গুলিতে ৫ বাংলাদেশিসহ ৫০ জন নিহত হয়। এর মধ্যে আন-নূর মসজিদেই সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে। ওই মসজিদেই জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর