× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মেয়েরা কি পারবে ভারত জুজু কাটিয়ে উঠতে?

খেলা


২০ মার্চ ২০১৯, বুধবার

সোমবার সন্ধ্যায় সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ ভারত যখন বিরাটনগর সিটি কপোরেশনের নিমন্ত্রণে বিগ হোটেলে ব্যস্ত। বাংলাদেশ দল তখন নিজেদের হোটেলে ব্যস্ত টিম মিটিংয়ে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ের আগে মাঠের অনুশীলনের চেয়ে মাঠের বাইরে এসব মিটিংকেই গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। মেয়েদের সঙ্গে কথা বলে চেষ্টা করছেন ভারত নামক জুজুর ভয় কাটাতে। আজ বিরাটনগরের শহীদ রঙ্গশালায় বিকাল সোয়া তিনটায় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এর আগে সকালে স্বাগতিক নেপালের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।
গত এক দশকে ভারতের মেয়েদের সঙ্গে ৯টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যার ৮টিতেই হেরেছে সাবিনা-কৃষ্ণারা। সফলতা বলতে গত সাফে ড্র।
শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত ওই আসরে ফাইনালে ভারতের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। সর্বশেষ অলিম্পিক বাছাই পর্বে ভারতের বিপক্ষে ৭-১ গোলে হেরেছে মেয়েরা। তবে আশার কথা হলো ওই দলের বেশির ভাগ ফুটবলারই নেই ভারতীয় দলে। বিশেষ করে দুই অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড বালা দেবী ও কমলা দেবী। মূলত এই দুই ফরোয়ার্ডের কাছে মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাই পর্বে বিধ্বস্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেমিফাইনালের আগে এসব নিয়ে ভাবতে চান না বাংলাদেশে দলের হেড কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। ম্যাচের আগে তার একটাই চেষ্টা মেয়েদের উজ্জীবিত করা। গতকাল বিরাটনগরের দিল্লি পাবলিক স্কুল মাঠে অনুশীলনের ফাঁকে ফাঁকে এই কাজটিই করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সেখানে ছোটন বলেন, এটা নকআউট ম্যাচ। ভারত চারবারের চ্যাম্পিয়ন। তাদের অনেক অভিজ্ঞ ফুটবলার আছে। কিন্তু এখন আর এগুলো নিয়ে আমাদের ভাবার অবকাশ নেই। আমরা জয়ের জন্যই মাঠে নামবো। মেয়েরা সর্বোচ্চ দিয়েই খেলবে। সেমিফাইনালের স্কোয়াড নিয়ে  তিনি বলেন, ফরোয়ার্ড লাইনে থাকবে সাবিনা, স্বপ্না, কৃষ্ণা ও সানজিদা। এদের নিচে লেফটে সামসুন্নাহার, রাইটে শিউলী আজিম, মাঝমাঠে আঁখি ও মাসুরা। মাঝে মারিয়া ও মনিকা। গোলবার সামলাবে মনিকা চাকমা। আক্রমণে যাওয়ার সময় আমাদের ফরমেশন হবে ৪-২-৪। আর ডিফেন্ডিং করবো ৪-৪-২ এ। সেমিফাইনালের আগে ভারতকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে ছোটন বলেন, মিয়ানমারে ভারতের কাছে ৭ গোল খাওয়ার পর নেপালের সঙ্গে ড্র করেছি। আবার এখানে নেপালের কাছে ৩ গোলে হেরেছি। প্রতিনিয়তই প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়। এটা সেমিফাইনাল। এখানে কিন্তু সুযোগ একটাই। এখানে তাই যে কোন কিছুই ঘটতে পারে। মেয়েরা বিগত দিনে গত খেলায় নেপালের কাছ থেকে শিখেছে। আশা করছি গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে সেটা কাজে লাগাবে।
নেপালের বিপক্ষে ডিফেন্ডারদের ভুলে ২৫ মিনিটে তিন গোল খেয়ে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে তেমনটা হবে না বলে জানিয়েছেন ছোটন। বাংলাদেশের এই দলটাই সাফ ১৫-তে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব উৎরে জায়গা করে নিয়েছে মূল পর্বে।  গতবছর ঘরে তুলেছে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। এবার সিনিয়র পর্যায়ে তারাই কিছু করে দেখাবে বলে বিশ্বাস করেন নারী দলের এই সফল কোচ। ২০১৬ সালের সাফে ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ। ফাইনালে ডোমিনেট করে খেলেও হেরেছে। দুইবছর আগে যদি তুমুল লড়াই করতে পারে। গোল খেয়ে স্বপ্না যদি একক প্রচেষ্টায় তিনজনকে কাটিয়ে গোল করতে পারে, তবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে কেন পারবে না  মেয়েরা। উল্টো এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেন ছোটন। কোচের সঙ্গে সুর মিলিয়ে কৃষ্ণারানী সরকার বলেন, ভারত অবশ্যই কঠিন দল। তারপরেও ভারতকে হারানোর বিশ্বাস আমাদের আছে। অবশ্যই চেষ্টা করবো জেতার জন্য। মিয়ানমারে আমি গোল করেছিলাম ভারতের বিপক্ষে। প্রথম ১৫ মিনিটে পেনাল্টির আগ পর্যন্ত আমি এবং স্বপ্না ভারতের রক্ষণকে অনেক চাপে রেখেছিলাম। আজও ওই আত্মবিশ্বাস নিয়েই খেলবো।
গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপকে ১১ গোল দিয়েছে ভারত। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে গোল দেয়া অতোটা সহজ হবে না বলেই মনে করেন ভারতের কোচ মাইমল রকি। ভারতের গোলরক্ষক অদিডু চৌহানও একটি ভালো সেমিফাইনালের প্রত্যাশা করছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর