শিলনোড়া দিয়ে আঘাত করে মুখমণ্ডল থেঁতলে লাকী আক্তার (৩২) নামে চার সন্তানের এক জননীকে খুন করা হয়েছে। সোমবার দিনগত রাত ১টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর আবাসিক এলাকার কে-ব্লকের ৭ নম্বর সড়কের একটি ফাস্টফুডের দোকানের পেছন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়দুল হক জানান, উদ্ধারের সময় লাকী আক্তারের মুখমণ্ডল বীভৎস ছিল। এ সময় তার পাশে থাকা রক্তমাখা শিলনোড়া উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে লাকী আক্তারের এক বছর বয়সী কন্যা সন্তানকেও পাওয়া যায়। তবে শিশু কন্যাটি অক্ষত ছিল। ওসি জানান, চার সন্তানের জননী লাকী আক্তারের স্বামী একজন শ্রীলঙ্কান নাগরিক। সে চট্টগ্রাম ইপিজেডে কর্মরত।
১০ বছর ধরে হালিশহর কে ব্লকের একটি বা সায় ভাড়া থাকতেন তারা। লাকী আক্তারের বাড়ি খুলনার বাগেরহাট এলাকায়। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-পশ্চিম) ফারুকুল হক জানান, লাকী আক্তার হালিশহর কে ব্লক ৩ নম্বর রোডে এই ফাস্টফুড ও বুটিকসের দোকান চালাতেন। সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় না ফেরায় লাকী আক্তারের ভাই ওই দোকানে যান। এ সময় তিনি দোকান তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখেন। কিন্তু দোকানের ভেতর থেকে লাকী আক্তারের সন্তানের কান্নাকাটির শব্দ শুনে সন্দেহ হয় তার। পরে খবর দিলে পুলিশ লাকী আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দোকানের ম্যানেজার খালেদ তাকে খুন করে পালিয়েছে। শিলনোড়া দিয়ে পিটিয়ে মুখমণ্ডল থেঁতলে দিয়ে খুবই বীভৎসভাবে তাকে খুন করা হয়েছে। ২৮ বছর বয়সী খালেদের বাড়ি কক্সবাজার জেলায়। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান উপ-কমিশনার (ডিসি-পশ্চিম) ফারুকুল হক। ডিসি ফারুকুল হক আরো বলেন, প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে পরকীয়া সংক্রান্ত বিষয় আছে। পাথর জাতীয় ভারি ও ধারালো বস্তু দিয়ে আঘাত করে লাকী আক্তারকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ফাস্টফুড শপের ম্যানেজারকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে আমরা গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।