× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মায়ের ওষুধ কিনতে গিয়ে লাশ হলেন জুলহাস

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২০ মার্চ ২০১৯, বুধবার

রাজধানীর পশ্চিম মেরুল বাড্ডায় দুর্র্বৃত্তদের গুলিতে জুলহাস মোল্লা (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছে। গত সোমবার রাত ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। জুলহাস সাভার রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা ইপিজেডের প্রাইভেটকার চালক ছিলেন। ঘটনার পর তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সোয়া ১০টার দিকে জুলহাস মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা যায়, জুলহাস পশ্চিম মেরুল বাড্ডার তার বোনের সঙ্গে থাকতেন। সেখানে একটি তিন তলা ভাড়া বাসায়   জুলহাসের অসুস্থ মা-ও থাকেন। তার মা গত কয়েক বছর ধরে প্যারালাইজড।
স্ত্রী নওরিন আক্তার জেমি, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে জুলহাসের পরিবার। বড় মেয়ের বয়স ৮ বছর। সে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। আর ছোট দুই ছেলের মধ্যে একজনের বয়স ৩ বছর। আরেক জনের বয়স দেড় বছর। গত সোমবার রাতে বাসার সামনের ফার্মেসি থেকে অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ আনতে গিয়েছিলেন জুলহাস মোল্লা। সঙ্গে তার বড় বোনও ছিল। ফার্মেসির সামনে যাওয়ার পরই ২৫ থেকে ২৬ বছর বয়সী দু’জন জুলহাসকে গুলি করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। জুলহাসের বোন সোমেহের বেগম জানান, আমার সামনেই দুইজন ছেলে এসে ভাইকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে সে রাস্তায় পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে আমরা ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাই। সেখানে সে মারা যায়। আমার ভাই একজন সাধারণ মানুষ। তার তেমন কোনো বন্ধু বান্ধবও নাই। এ ছাড়া তার কোনো শত্রু আছে বলে আমার মনে হয় না। কেন আমার ভাইকে হত্যা করা হলো। আমরা এই হত্যার বিচার চাই। জুলহাসের ভগ্নিপতি ইমু মানবজমিনকে বলেন, গতকাল আমরা লাশ দাফন করেছি। ঘটনার দিন রাতেই এই বিষয়ে বাড্ডা থানা থেকে পুলিশ এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলে গেছে। কারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত বা কাউকে সন্দেহ করেন কিনা এমন প্রশ্নে ইমু বলেন, জুলহাস ভাই খুবই সাধারণ একজন মানুষ ছিলেন। তার কোনো শত্রু থাকতে পারে বলে আমার জানা নাই। আর কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আমরা জানি না। এ বিষয়ে বাড্ডা থানার এস আই সাইফুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, সোমবার রাতে এমন একটা ঘটনার কথা আমরা শুনেছি। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। কিন্তু নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ জানায়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর