তীব্র বন্যা ও শক্তিশালী সাইক্লোনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে মোজাম্বিক। এতে প্রায় সহস্রাধিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সাইক্লোন আঘাত হেনেছে জিম্বাবুয়েতেও। সেখানেও অন্তত ৯৮ জন নিহত হয়েছে। দুই শতাধিক মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার মোজাম্বিকে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। সেখানে আঘাত হানে শক্তিশালী সাইক্লোন। এতে বিশাল অঞ্চল পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
কর্তৃপক্ষ এ দুর্যোগে হতাহতের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করছিল না। অসমর্থিত সূত্রে সাইক্লোন ইদাই-এর আঘাতে মোজাম্বিকে ৮৪ জনের নিশ্চিত মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সোমবার এ বিষয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খোলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফিলিপ নায়সি। তিনি জানান, সাইক্লোনে বিধ্বস্ত অঞ্চলের উপর দিয়ে তিনি উড়ে দেখেছেন। এসময় তিনি দেখতে পান, দু’টি নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রামগুলো পানিতে প্লাবিত হয়ে অদৃশ্য হয়ে গেছে। সেখানে ভাসছে মানুষের মৃতদেহ। সবকিছু বিবেচনায় ধারণা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি হবে। দুর্গতদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে উদ্ধারকর্মীরা। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোজাম্বিকের বেইরা শহর। এখানে প্রায় ৫ লাখ মানুষের বসবাস। শহরের বেশির ভাগ ঘরবাড়ি এখন বুক সমান পানির নিচে। সেখানে আটকে পড়া ব্যক্তিদেরকে উদ্ধারকর্মীরা ডিঙি নৌকা দিয়ে সরিয়ে নিচ্ছে।
মোজাম্বিকের পাশাপাশি জিম্বাবুয়ে ও মালাওয়িতেও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে সাইক্লোন ইদাই। জিম্বাবুয়েতে ইদাইয়ের আঘাতে ৯৮ জন নিহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ২ শতাধিক মানুষ। জিম্বাবুয়ের চিমানিমানি জেলায় উদ্ধার তৎপরতা চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। তীব্র ঝড়ো বাতাস ও বন্যায় সেখানকার সব সংযোগ সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ব্রিজগুলোও ভেঙে গেছে। রাস্তা ও ব্রিজ সংস্কারসহ ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার বরাদ্দ দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। এ ছাড়া, পার্শ্ববর্তী দেশে মালাবিতে সাইক্লোনের কবলে পড়ে নিহত হয়েছে ৫৬ জন।