× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আলাপন / ‘দর্শক আমাকে অন্যভাবে আবিষ্কার করবে’

বিনোদন

এন আই বুলবুল
২০ মার্চ ২০১৯, বুধবার

জনপ্রিয় অভিনেতা-নির্মাতা সালাউদ্দিন লাভলু। টেলিভিশন নাটকের পাশাপাশি তের বছর পর ‘সাপলুডু’ নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেন। এটি নির্মাণ করেছেন গোলাম সোহরাব দোদুল। সম্প্রতি ছবিটির ট্রিজার প্রকাশ হয়েছে। সেখানে এক ঝলকে লাভলুকে দেখা গেছে অ্যাকশন মুডে। দর্শক প্রশংসায়ও ভাসছেন তিনি। ছবিটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েই তিনি জানিয়েছিলেন নতুন রূপে আসছেন। ট্রিজারে তার সে রূপটি পাওয়া গেল।
লাভলু বলেন,  টেলিভিশন নাটকে অভিনয় ও নির্মাণে ব্যস্ত থাকার কারণে অনেক দিন চলচ্চিত্রে অভিনয় করা হয়নি। দোদুলের এই ছবির গল্প ও  চরিত্রে দারুণ নতুনত্ব আছে। বলতে পারি, দর্শক আমাকে অন্যভাবে আবিষ্কার করবে। তাই এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। মাঝে ‘রাত্রির যাত্রি’ চলচ্চিত্রে এই অভিনেতাকে অতিথি চরিত্রে দেখা গেছে। অভিনয়ের পাশাপাশি লাভলু সর্বশেষ ‘মোল্লা বাড়ির বউ’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন। নতুন চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়ে কি ভাবছেন? তিনি বলেন, প্রতি বছরই ভাবি নতুন ছবির কাজ শুরু করবো। কিন্তু শুরু করা হয়ে ওঠে না। তবে এবার নতুন ছবির কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করছি। আমি এমন কিছু নিয়ে দর্শকের সামনে আসতে চাই যা দেখে তারা যেন মুগ্ধ থাকেন। এই অভিনেতা বর্তমানে ‘জায়গীর মাস্টার’ শিরোনামের একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। ধারাবাহিকটি বাংলাভিশনে প্রচার হচ্ছে। ইতিমধ্যে দর্শকের মধ্যে এটি বেশ সাড়া ফেলেছে। নাটকটি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই নাটকে অভিনয় করে আমি বেশ তৃপ্ত। নাটকটিতে জীবনের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি মজা করে কিছু বক্তব্য তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন নির্মাতা। দর্শক সবসময় গল্পনির্ভর নাটক পছন্দ করেন। এ নাটকের মাধ্যমে তা আবারো প্রমান হয়েছে। এই সময়ের নাটকের হালচাল সম্পর্কে অনেকেই বলেন, এখন নায়ক-নায়িকা নির্ভর নাটক নির্মাণ হচ্ছে বেশি। এসব নাটকে পরিবারের কোনো আবহ থাকে না। লাভলু কি মনে করেন? তিনি বলেন, নায়ক-নায়িকা নির্ভর নাটক নির্মাণ হচ্ছে সত্যি। তবে তার বিশেষ কিছু কারণ আছে। এরমধ্যে একটি হলো নাটকের বাজেট এই সময়ে অনেক কম। অনেক চরিত্রের সমন্বয় করার মতো বাজেট বেশিরভাগ নাটকে থাকে না। যার ফলে নির্মাতারা নায়ক-নায়িকাদের নিয়েই নাটক নির্মাণ করছেন। এছাড়া আমাদের টিভি চ্যানেলগুলোর অবস্থা আগের মতো ভালো নেই। বড় অঙ্কের বিজ্ঞাপন চলে গেছে দেশের বাইরের চ্যানেলে। তাই তারাও বাজেট দেয় না নাটকে। এই কারণেও পেশাদার শিল্পীদের জন্য সময়টা প্রতিকূলে। গেল বছরের শেষের দিকে ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন সালাউদ্দিন লাভলু।  এর পর বেশ কয়েক মাস কেটে গেল। নাট্য নির্মাতাদের সংগঠনের সবচেয়ে দায়িত্বশীল পদে থাকায় অনেক কাজও করার কথা ছিল তার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংগঠনের দায়িত্ব নিয়েছি গত বছরের শেষের দিকে। জানুয়ারি থেকে কমিটির কাজ শুরু করেছি। কাজের গতি বাড়াতে বেশ কয়েকটি উপকমিটি গঠন হয়েছে। টিভি চ্যানেলগুলোর সঙ্গে বসেছি। শিল্পীদের চুক্তি স্বাক্ষর নিয়েও কাজ হয়েছে। আশা করছি ঈদের পর সংগঠনের কাজ পুরোদমে শুরু করবো। সংগঠনের সদস্যদের স্বপ্নপূরণ ও পরিচালকদের সম্মান পুনরুদ্ধার করতে চাই। তরুণ ও পুরোনো মেধাবী পরিচালকদের জন্য কাজের সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কাজ করবো। এদিকে পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে একজন নাট্য পরিচালকের কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই। আমি চেষ্টা করবো পরিচালকদের প্রথম শ্রেণির নাগরিকত্বের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে।  তাহলে কাজের মান আরো বাড়বে। সবার আরো সংগঠিত হওয়ার সুযোগ থাকবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর