ক্রাইস্টচার্চের মেমোরিয়াল পার্ক সেমিটারি। সেখানে শোকার্ত মানুষ। শোকে স্তব্ধ সবাই। এমন সময় সেখানে পৌঁছে খালেদ (৪৪) ও তার ছেলে হামজার (১৬) লাশ। অকস্মাৎ আর্তনাদে ফেটে পড়ে জায়েদ মুস্তাফা (১৩)। হুইল চেয়ারে বসে সে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছিল না। উপস্থিত অনেকে তাকে শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও চিৎকার করতে থাকে জায়েদ।
বলতে থাকে- এই দুনিয়ায় আমি আর একা থাকতে চাই না। খালেদ ও হামজা তার পিতা ও ভাই। তাদের যে পরিণতি হয়েছে তারও তাই হতে পারতো। কিন্তু ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছে। পিতা খালেদ, ভাই হামজার সঙ্গে গত শুক্রবার আল নূর মসজিদে সেও গিয়েছিল নামাজ আদায় করতে। অতির্কিতে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর গুলি চালাতে থাকে সন্ত্রাসী ব্রেনটন টেরেন্ট। তাতে মারাত্মক পিতা ও তার ভাই নিহত হলেও মারাত্মক আহত হয় জায়েদ।