ভারতের নির্বাচনে সোস্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর হয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য ও খবরাখবর যাতে নির্দিষ্ট সীমা লঙ্ঘন না করে, সেদিকে নজর রাখার কথা ভাবা হয়েছে। দেখা গেছে, নির্বাচনে জনসংযোগে প্রার্থীদের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারও হয় সবচেয়ে বেশি। মিথ্যা, ভুয়া বা আপত্তিকর বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা চলে। মঙ্গলবার নয়া দিল্লিতে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ সহ দেশের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার শাখা প্রধান ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন। সেখানেই সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য পৃথক আচরণবিধির এই প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বলা হয়েছে, এই আচরণবিধি মেনেই প্রতিটি রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী এবং প্রত্যেক নাগরিককে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে হবে। কেউ আচরণবিধি ভাঙলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাশাপাশি মঙ্গলবারের বৈঠকে এ নিয়েও আলোচনা হয় যে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে একটি খসড়া চুক্তি করবে। সেখানে তারা এটা বলবে যে, সোশ্যাল মিডিয়াকে কোনও ভাবেই কেউই নির্বাচনের জন্য অপব্যবহার করবে না। ইতিমধ্যেই অবশ্য পরিচিতি সোস্যাল মিডিয়া সাইটগুলি নজরদারির ব্যবস্থা চালু করেছে। গত সপ্তাহেই ভারতে নির্বাচনের জন্য আলাদা ‘কন্ট্রোল রুম’ খুলছে বলে জানিয়েছে ফেসবুক। দিল্লিতে এই কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। ফেসবুকের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর শিবনাথ ঠাকরাল জানিয়েছেন, ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার, ফেক নিউজ, ভুয়া, মিথ্যে বা আপত্তিকর পোস্ট-সহ যাবতীয় বিষয় ২৪ ঘন্টা নিয়ন্ত্রণ করা হবে এই কন্ট্রোল রুম থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারতই হবে দ্বিতীয় দেশ, যেখানে নির্বাচনের আগে আলাদা করে এই রকম ‘কন্ট্রোল রুম’ খুলছে ফেসবুক। অন্যান্য সংস্থাও একই রকম উদ্যোগ নেবার কথা জানিয়েছে।