× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

উদ্যোক্তা হতে চান রেশমা

বাংলারজমিন

মাহবুব খান বাবুল, সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে
২১ মার্চ ২০১৯, বৃহস্পতিবার

কঠোর অধ্যবসায়ী এক গৃহবধূর নাম মোছাম্মৎ আকলিমা আক্তার রেশমা। স্বামী ব্যবসায়ী মো. রওশন আলী। সরাইল সদর ইউনিয়নের ছোট দেওয়ানপাড়ার বাসিন্দা। উচ্চ মাধ্যমিক পাস রেশমা বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রতি আগ্রহ অনেক। বিভিন্ন সংস্থা থেকে অনেক বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। খুবই ভালো করেছেন। হস্তশিল্প বিষয়ে একাধিক প্রশিক্ষণ নিয়েই রেশমা এখন একজন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক। সরকারি-বেসরকারি একাধিক কর্মশালায় প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে সুনাম অর্জন করেছেন।
রেশমার তৈরি অনেক শিল্প মানুষের মন কেড়েছে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি করেছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনিই এখন দক্ষ কারিগর ও প্রশিক্ষক। তিনি হাতে-কলমে শিখিয়ে কর্মক্ষম করেছেন স্থানীয় ভিন্ন বয়সের সহস্রাধিক নারীকে। সফল একজন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন রেশমা। প্রয়োজন শুধু পৃষ্ঠপোষকতার। দেশীয় কাঁচামাল, কাপড় ও সুতা ব্যবহার করে শুধু সরাইল নয়, গোটা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। সরজমিনে রেশমার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পড়ালেখার সঙ্গেই চলে তার কাজ শেখা। ২০০৩ সালে সিঙ্গার বাংলাদেশ লি. কালিকচ্ছ শাখার আয়োজনে ‘ড্রেস মেকিং’ ও ‘এমব্রয়ডারি’ বিষয়ে প্রশিক্ষণে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ২০০৬ সালে কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ২০১৬ সালে জাতীয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন সরাইলের একটি সংস্থার উদ্যোগে রেশমা ‘ফ্যাশন ডিজাইন’, ‘ক্যাটারিং’ ও ‘মাশরুম’ বিষয়ের প্রশিক্ষণে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। পরবর্তীতে স্থানীয় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ‘বিউটিফিকেশন’, ‘হস্ত-শিল্প’ ‘নকশিকাঁথা’ ও ‘পোশাক তৈরি’ বিষয়ের প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করেন। একসময় রেশমা সুনিপুণ কারিগর ও দক্ষ প্রশিক্ষক হয়ে যান। মহিলাদের সব ধরনের প্রশিক্ষণে তার ডাক পড়তে থাকে। ব্লক, বাটিক, এম্বোস, জামা তৈরি, শাড়ি, বালিশ ও বিছানার ছাদরে হাতে সুতার সাহায্যে ডিজাইন বিষয়গুলো ৪ শতাধিক মেয়েকে শিখিয়েছেন রেশমা। তিনি মৃৎশিল্পের ডেকোরেশন ও নাসিরনগরে জাপানি সংস্থা জাইকার প্রকল্পে পুঁথির কাজের প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। রেশমার হাতে তৈরি থ্রি-পিস, রুমাল, বেডশিটসহ ঘর সাজানোর হরেক রকম আকর্ষণীয় ডিজাইনের তৈজষপত্র এখন অত্যন্ত জনপ্রিয়। চাহিদাও ব্যাপক। উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন প্রাইভেট সেক্টরে রেশমা এখন অতি পরিচিত একজন হস্তশিল্পীর নাম। মোছাম্মৎ আকলিমা আক্তার রেশমা বলেন, আমার এ অর্জনে স্বামীর অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতার ভূমিকাই বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমিও প্রমাণ করতে চাই নারীরা আর অবলা নয়। নারীরাও কাজ করে স্বাবলম্বী হয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। আমি সফল একজন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। এখন শুধু প্রয়োজন সরকারি অথবা বেসরকারিভাবে সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর