× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রেজা-সাইফের ব্যাটে বলে জয় দোলেশ্বরের

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২১ মার্চ ২০১৯, বৃহস্পতিবার

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর। মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৩০ রানেই অলআউট হয়ে যায় গাজী। জবাবে তরুণ ওপেনার সাইফ হাসানের দারুণ সেঞ্চুরিতে জয়ের ভিত পায় দোলেশ্বর। শেষ দিকে অধিনায়ক ফরহাদ রেজার অলরাউন্ডার পারফরম্যান্সে চতুর্থ রাউন্ডে তৃতীয় জয়ের দেখা পায় দলটি। এ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান তালিকার তৃতীয় স্থানে। ম্যাচসেরা হয়েছেন রেজা। অন্যদিকে চার ম্যাচের মধ্যে ২টিতেই হারের মুখ দেখেছে গাজী। ৪ পয়েন্ট নিয়ে এখন তাদের অবস্থান তালিকার ৭ম স্থানে।
এ ছাড়াও দিনের আরেক ম্যাচে ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে বিকেএসপিকে ২৭ রানে হারিয়ে আসরের প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে খেলাঘর সমাজকল্যাণ। এখন পর্যন্ত চার ম্যাচে বিকেএসপিও একটি জয় পেয়েছে।
গতকাল মিরপুর মাঠে চতুর্থ রাউন্ডের শেষ দিনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফরহাদ রেজার দারুণ বোলিংয়ে চাপে পড়ে গাজী। চার ব্যাটসম্যানই বিদায় নেন দলের মাত্র ৪৯ রানের মধ্যে। দুই ওপেনারের সঙ্গে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকেও ফিরিয়ে দেন রেজা। এরপর অবশ্য প্রতিরোধ গড়ে তোলেন শামসুর রহমানের সঙ্গে ১০৪ রানের জুটিতে পারভেজ রাসুল। তবে এই ভারতীয় অলরাউন্ডারকে ফিরিয়ে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙেন স্পিনার আরাফাত সানি। তার আগে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬৩ বলে ৬৭ রান করেন রসুল। এরপর মিডিয়াম পেসার সৈকত আলীর বলে ফের চাপে পড়ে গাজী। ৯ রানের মধ্যে তৌহিদ তারেক ও শামসুল ইসলামের সঙ্গে ফিরে যান শামসুর। অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের ৬৯ বলে খেলা ৪৫ রানের ইনিংস গড়া তিনটি চারে। ৩৬তম ওভারে ১৬৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা গাজী শেষ পর্যন্ত লোয়ার অর্ডারের দৃঢ়তায় ২৩০ রান ছুঁতে সক্ষম হয়। ১৯ রান করা নাসুম আহমেদকে ফিরিয়ে ৪৪ রানের নবম উইকেট জুটি ভাঙেন রেজা। একটি করে ছক্কা-চারে ২৯ রান করা আবু হায়দারকে ফিরিয়ে গাজীকে গুটিয়ে দেন দোলেশ্বর অধিনায়ক। সেই সঙ্গে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে চতুর্থবারের মতো রেজা তুলে নেন পাঁচ উইকেট। এখন পর্যন্ত আসরের প্রথম চার ম্যাচেই অভিজ্ঞ এই পেসারের শিকার ১৪ উইকেট। এ ছাড়াও সৈকত ৩ উইকেট নেন ৩২ রানে খরচ করে।
জবাব দিতে নেমে ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে ৫১ ও মার্শাল আইয়ুবের সঙ্গে ৮৯ রানের দুটি জুটিতে দলকে সহজ জয়ের ভিত গড়ে দেন তরুণ ওপেনার সাইফ। এরপর ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে আউট হন তিনি। ১২৪ বলে ১০২ রানের ইনিংসে হাঁকান ৬ ছক্কা ও ৪টি চারের মারও। এরপর পাকিস্তানি অলরাউন্ডার সাদ নাসিমকে নিয়ে বাকিটা সহজেই সারেন দোলেশ্বর অধিনায়ক। তিনি ১০ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে করেন ২১ রান। নাসিম ৩৬ বলে করেন ৩৫ রান।
খেলাঘরের প্রথম, ব্রাদার্সের দ্বিতীয় জয়
ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে খেলাঘরের ছুড়ে দেয়া ২১২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৮৫ রানে থেমে যায় বিকেএসপি। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাদিকুর রহমানকে হারায় খেলাঘর। দ্বিতীয় উইকেটে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের সঙ্গে শতরানের জুটিতে দলকে দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড় করান রবিউল ইসলাম রবি। দুটি করে ছক্কা-চারে ৮৭ বলে ৪৯ রান করা কিপার-ব্যাটসম্যান মাহিদুলকে ফিরিয়ে ১২০ রানের জুটি ভাঙেন হাসান মুরাদ। রবির ১১৭ বলে ৭৫ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস গড়া পাঁচ চার ও এক ছক্কায়। বিকেএসপির মুরাদ ৩৩ রানে নেন ৩ উইকেট। শামিম হোসেন ২ উইকেট নেন ৩১ রানে। জবাব দিতে নেমে বড় কোনো জুটিও গড়তে পারেনি বিকেএসপি। আশা হয়ে টিকে ছিলেন শামিম হোসেন। তার ফিফটির পরও ৪০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩২ রান তুলতে পারে বিকেএসপি। দিনের আরেক ম্যাচে উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাবকে ৮ উইকেটে হারায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। উত্তরার দেয়া ২৬৫ রানের টার্গেট ১০ বল হাতে রেখেই পার করে ব্রাদার্স। ওপেনার মিজানুর রহমান ১০৮ ও জুনাইদ সিদ্দিকী করেন ৯২ রান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর