× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আবারো ভারতে কাটা পড়লো বাংলাদেশ

খেলা


২১ মার্চ ২০১৯, বৃহস্পতিবার

রঙের উৎসব লেগেছে বিরাটনগরের অলিগলিতে। সকল বয়সীই মেতে উঠেছে হোলির আনন্দে। রাস্তায় নেচেগেয়ে রঙে একাকার অবস্থা সবার। এতো রঙের মাঝে নিজেদের রাঙাতে পারেনি সাবিনা-কৃষ্ণারা। শক্তিশালী ভারতের কাছে হেরে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ চার থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। নেপালের বিরাটনগরের শহীদ রঙ্গসালা স্টেডিয়ামে গতকাল দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ৪-০ গোলে হারে বাংলাদেশ দল। গতবার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরেই রানার্সআপ হয়েছিল গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। দিনের প্রথম সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৪-০ গোলে হারায় স্বাগতিকরা।
আগামীকাল ফাইনালে ভারত খেলবে নেপালের সঙ্গে। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ভারত একেবারে দুর্বার। সেমিফাইনালের আগ পর্যন্ত সাফে ২১ ম্যাচের ২০টিতেই জিতেছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশই ভারতের কাছে হেরেছে। একটা মাত্র ড্র, সেটি বাংলাদেশেরই সঙ্গে। এটাও একটা অনুপ্রেরণা ছিল বাংলাদেশের। ২০১৬ সালে শিলিগুড়িতে সাফের গ্রুপ পর্বে সেবার গোলশূন্য ড্র করেছিলেন সাবিনা-কৃষ্ণারা। কিন্তু বাস্তবতা হলো ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারত ৬২তম, বাংলাদেশ ১২৫তম স্থানে। সেই ভারত এখন আরও ক্ষুরধার। বিরাটনগরে গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচে মালদ্বীপকে ৬-০ ও শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে তারা। এমন শক্তিশালী দলের বিপক্ষে গতকাল আত্মঘাতী এক কৌশলে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। যদিও সাবিনা, কৃষ্ণা, সানজিদা ও স্বপ্না-এই চার ফরোয়ার্ড নিয়ে শুরুটা খারাপ হয়নি। বলের নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণে আধিপত্য ছিল দলের। শুরুর ১৫ মিনিটে মনে হয়নি বাংলাদেশ এই ম্যাচ হারতে পারে।
পঞ্চদশ মিনিটে বাংলাদেশের পোস্টে প্রথম শট নেয় ভারত। দালিমা চিব্বারের ফ্রি কিক ওপরের জাল কাঁপায়। তিন মিনিট পর গোল করে চাপ থেকে বেরিয়ে আসে শিরোপাধারীরা। সাঞ্জু যাদবের কর্নারে রুপনা লাফিয়ে উঠে বলে গ্রিপে নিতে ব্যর্থ হলে দালিমা আলতো টোকায় জালে জড়িয়ে দেন। মূলত এই গোলের পরই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। মাঝে মাঝে সাবিনা-কৃষ্ণার কল্যাণে বেশ কয়েকবার আক্রমণে গেলে ভারতের গোলরক্ষক অদিথি চৌহানকে পরীক্ষায় ফেলতে পারছিলেন না। উল্টা-পাল্টা আক্রমণে গতির সঙ্গে পেরে না ওঠা বাংলাদেশ পরের দুই গোল হজম করে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে। ২২তম মিনিটে নিজেদের ডি-বক্সের একটু ওপর থেকে লম্বা করে বাড়ানো বল সাঞ্জু নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর ডানে থাকা ইন্দুমাতিকে বাড়ান; রক্ষণে থাকা একমাত্র ডিফেন্ডার শিউলী আজিমের করার কিছু ছিল না। অনায়াসেই লক্ষ্যভেদ করেন ইন্দুমাতি (২-০)। ২৮তম মিনিটে সাঞ্জুর কাছের পোস্টে নেয়া শট ফেরান রুপনা। ৩২তম মিনিটে সান্দিয়ার নিচু ক্রসে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রুপনাকে একা পেয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করেন ইন্দুমাতি। এরপর মারিয়ার ফ্রি কিকে আঁখি খাতুনের হেড প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড় হেডে বিপদমুক্ত করলে প্রথমার্ধে ম্যাচে ফেরা গোল পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। প্রথমার্ধে তিন গোলে পিছিয়ে পরার পরেও খেলার কৌশলে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। ভারত কাউন্টার এটাক নির্ভর ফুটবল খেললেও, তা প্রতিরোধে সজাগ ছিল না বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। পুরো ম্যাচে সাবিনা, স্বপ্না চেষ্টা করলেও নিচ থেকে সেভাবে সাপোর্ট না পাওয়াতে তাও গোল করতে পারছিলেন না।
ডিফেন্স ছেড়ে বার বার উপরে উঠতে দেখা গেছে শিউলী আজিম, মাসুরা পারভীনকে। ডাগআউট থেকে পল স্মলি, গোলাম রব্বানী ছোটনকেও দলকে উজ্জীবিত করতে দেখা যায়নি। ম্যাচের ৬৪তম মিনিটে কৃষ্ণাকে তুলে নিয়ে মার্জিয়াকে নামান বাংলাদেশ কোচ। এরপর সানজিদা ও শিউলীকে তুলে নিয়ে মিশরাত জাহান মৌসুমী ও নিলুফা ইয়াসমিন নীলাকে নামান রব্বানী। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ মুঠোয় নেয়া ভারত পরের সময়টুকু লং বলে খেলে বাংলাদেশের রক্ষণে ভীতি ছড়াতে থাকে। ৮২তম মিনিটে মনিকার লম্বা করে বাড়ানো বল ভারতের গোলরক্ষকের মুঠো ফসকে পেয়ে যান মার্জিয়া কিন্তু তালগোল পাকিয়ে ব্যবধান কমাতে পারেননি তিনি। উল্টো যোগ করা সময়ে মনীষা বাংলাদেশের কফিনে ঠুকে দেন শেষ পেরেকটি। এক জয় ও দুই হার দিয়ে সাফের পঞ্চম আসর শেষ করলো বাংলাদেশ। ভুটানকে ২-০ গোলে হারিয়ে শুরু করা দল গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর