× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে মারধর: প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি আরেক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর

দেশ বিদেশ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
২১ মার্চ ২০১৯, বৃহস্পতিবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে অনশন করা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রবিউল ইসলামকে মারধরের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে আরেক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আমজাদ হোসেন। গতকাল দুপুর ২টা থেকে টিএসসির সন্ত্রাস বিরোধী রাজু স্মারক ভাস্কর্যের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। এ সময় তিনি রবিউলের ওপর হামলাকারীদের বিচার চেয়ে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করেন। বিকালে আমজাদ হোসেন মানবজমিনকে বলেন, রবিউলের মতো একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী যখন এ ক্যাম্পাসে নিরাপদ নয়, তখন অন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা কিভাবে এ ক্যাম্পাসে নিরাপদ। দখলদারদের কাছে আজ সবাই জিম্মি। আমি এ হামলার বিচার চাই। প্রশাসনকে আহ্বান জানাবো অবিলম্বে দোষীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য। আমি চাই বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অরাজকতা পরিস্থিতি বিরাজ করছে প্রশাসন তা দূর করে সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
তিনি বলেন, আমি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রয়োজনে অবস্থান কর্মসূচির সময় আরো বাড়বে। এর আগে গত মঙ্গলবার রবিউল ইসলামের ওপর হামলা হয় সূর্যসেন হলে। রবিউল ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক পদে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে গত ১৪ই মার্চ অনশনে যোগ দেন তিনি। ভুক্তভোগী রবিউল বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে সূর্য সেন হলের নিজের কক্ষ (২০৯ নম্বর) থেকে তিনতলার একটি কক্ষে (৩২৬ নম্বর) যাচ্ছিলাম বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়ার জন্য। পথিমধ্যে করিডরে আমার পথ আটকে একজন জানতে চান, আমি ডাকসুর পুনঃনির্বাচন দাবিতে অনশন করেছিলাম কি না। হ্যাঁ বলতেই তিনি আমাকে গালিগালাজ করেন ও কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন। করিডরে তখন কেউ ছিল না আর আমি অন্ধ হওয়ায় ওই লোককে চিনতে পারিনি।’ এ বিষয়ে সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দরখাস্ত দিয়েছে। আমরা দোষীকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেব।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর