× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জিসিআইমুন- /জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছে ১২ বছরের স্বস্তিকা গার্গী চক্রবর্তী

দেশ বিদেশ

কূটনৈতিক রিপোর্টার
২১ মার্চ ২০১৯, বৃহস্পতিবার

জাতিসংঘের শিক্ষা বিষয়ক ফ্লাগশিপ কর্মসূচি গ্লোবাল ক্লাসরুম ইন্টারন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড নেশনস প্রোগ্রাম বা জিসিআইমুন-এ বাংলাদেশ থেকে মনোনীত হয়েছে ১২ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থী স্বস্তিকা গার্গী চক্রবর্তী। আগামী ২৮ থেকে ৩০শে মার্চ নিউ ইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৩ দিনের ওই কনফারেন্সে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি। এবারে জিসিআইমুনের ১৫তম এই আসরে বিশ্বের ২৮টি দেশের ৫০ হাজার হাইস্কুল এবং ২৫০ প্রাইমারি স্কুল থেকে বাছাইকৃত প্রায় ৪ হাজার তরুণ-তরুণী স-শরীরে উপস্থিত হয়ে তাদের কনসেপ্ট শেয়ার করার সুযোগ পাচ্ছেন। স্বস্তিকাই প্রথম বাংলাদেশি ছাত্রী যে এত কম বয়সে ওই দুর্লভ সুযোগটি অর্জন করেছে। ২০১৪ সালে তার ভাই অর্ণব চক্রবর্তী ১৬ বছর বয়সে ওই সম্মেলনে অংশ নেয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন। জানা গেছে, শিশু শিক্ষা এবং কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য বিষয়ক স্বস্তিকার কনসেপ্ট পেপার এরই মধ্যে জাতিসংঘের অনুমোদন পেয়েছে। তার কনসেপ্ট পেপার বা মডেলটি ক্যারিবীয় অঞ্চলে প্রয়োগ করতে চায় জাতিসংঘ। সম্মেলনে স্বস্তিকা তার মডেলের প্রায়োগিক দিক নিয়ে বক্তব্য রাখবেন বলে জানিয়েছেন তার পিতা সুপ্রিয় চক্রবর্তী এবং মা অনসুয়া চক্রবর্তী।
তারা উভয়ে তাদের একমাত্র কন্যার সফরসঙ্গী হচ্ছেন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের গ্রেড ফাইভের ছাত্রী স্বস্তিকা আন্তর্জাতিক ওই ইভেন্টে মনোনয়ন প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই শিক্ষা সম্মেলনের সবকিছুতেই জাতিসংঘ সম্মেলনের মতো কায়দাকানুন। সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা, যুক্তি, তর্ক-বিতর্ক সবই হয় সেখানে। আমি তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছি। স্বস্তিকা বলেন, আমার স্বপ্ন বিদেশে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। এটা সূচনা মাত্র। আশা করি এটি আমার স্বপ্নের ক্যারিয়ার গঠনে খানিকটা হলেও সহায়ক হবে। স্বস্তিকার পিতা বলেন, গার্গী ক্যারিবীয় সাগরের হিস্পানিওলা দ্বীপের পশ্চিমে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকা নিয়ে গঠিত রাষ্ট্র হাইতি নিয়ে কথা বলবেন। ফলে তাকে হাইতির সমাজব্যবস্থা, চিকিৎসা, শিক্ষা, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং বিদেশনীতি বিষয়ে জানতে পরিশ্রম করতে হচ্ছে। গার্গী তার স্কুলজীবনের সূচনা থেকেই কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। ২০১৭ সালে বাংলা অলিম্পিয়ার্ডে কবিতা আবৃত্তিতে ব্রোঞ্জ পদক প্রাপ্তিসহ বৃটিশ কাউন্সিলের বই পড়া প্রতিযোগিতা, স্পোর্টস প্রতিযোগিতা, আর্ট কন্টেস্ট, বানান ও কুইজ প্রতিযোগিতা, ওয়ার্ল্ড ফ্লাগ ড্রয়িং প্রতিযোগিতাসহ নানামুখী কম্পিটিশনে ২৫-এর ক্রেস্ট পেয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, বছরে জিসিআইমুন-এর দুটি আসর হয়। সেখানে নানা বিষয়ে আলোচনা-বিতর্ক এবং মতবিনিময় হয় বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা শিশু-কিশোর যারা খাদ্য, পুষ্টি, চিকিৎসা, শিক্ষা, নাগরিক অধিকারসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত মূলত তাদের কথাই সেখানে উচ্চারিত হয়। এতে উন্নত দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনুন্নত দেশের শিক্ষার্থীদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ হয়। ইতিহাস, ঐতিহ্য নিয়ে কথা হয়। অনুন্নতদের এগিয়ে যাওয়ার পথ ও পাথেয় বাতলে দেয়া হয়। অর্থনৈতিক অবস্থা যাই থাকুক শিশু-কিশোরদের সত্যিকারের বৈশ্বিক নাগরিক হিসাবে গড়ে ওঠার লেসন দেয়া হয় সেই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর