স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী। গতকাল সংসদ সচিবালয়ে স্পিকারের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে জাতীয় সংসদের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন আজ দৃশ্যমান। শেখ হাসিনাই নারীর ক্ষমতায়নে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে সরাসরি জনগণের ভোটে নারী জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পথ সুগম করেছেন। পাসপোর্টে পিতার নামের পাশাপাশি মায়ের নাম অন্তর্ভুক্তকরণ ও পিতা- মাতার ভরণপোষণ আইন বর্তমান সরকার করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক গতিশীলতার কারণে শুধু শহরেই নয় উন্নয়ন হয়েছে গ্রামীণ জনপদেও। স্পিকার বলেন, দু’দেশের সংসদ সদস্যদের পারস্পরিক সফর ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে উভয়েরই সমৃদ্ধ হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে তরুণ সংসদ সদস্য ও রাজনীতিবিদদের এক প্রতিনিধিদল অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য ভারতের লোকসভায় যান। ভারতের লোকসভার সংসদ সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে পাঠানোর অনুরোধ করেন তিনি। এ সময় তিনি প্রতিবছর জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ৩০ জন কর্মকর্তা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ নিতে ভারতের লোকসভায় যান বলে তিনি উল্লেখ করেন। সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, ভারতীয় হাইকমিশনার বাংলাদেশকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধি এ অঞ্চলের সকল দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব গুণ ও জনগণের প্রতি ভালোবাসার ভূয়সী প্রশংসা করেন। হাইকমিশনার টানা তৃতীয়বারের মতো স্পিকার নির্বাচিত হওয়ায় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে অভিনন্দন জানান। পরে তিনি জাতীয় সংসদের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এসময় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।