× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যশোরে পিকআপের চাপায় স্কুলছাত্রীর পা বিচ্ছিন্ন

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে
২১ মার্চ ২০১৯, বৃহস্পতিবার

স্কুলের সামনেই পিকআপের চাকায় পিষ্ট হয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মেফতাহুল জান্নাত নিপার জীবন রক্ষা পেলেও তার একটি পা কেটে ফেলতে হলো। আর সেই সঙ্গে চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়লো তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন। গতকাল সকালে যশোর-বেনাপোল সড়কের নাভারনে বুরুজবাগান পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত আরো তিন ছাত্রীকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। এদিকে দুর্ঘটনার পর পরই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা যশোর-বেনাপোল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।

মেফতাহুল জান্নাত নিপা শার্শা উপজেলার দক্ষিণ বুরুজবাগান এলাকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একই এলাকার সবুজ কুঁড়ি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিপাসহ চার শিক্ষার্থী একটি রিকশাভ্যানে করে তাদের স্কুলের সামনে পৌঁছামাত্রই দ্রুতগামী একটি পিকআপ পেছন থেকে শিক্ষার্থীদের রিকশাভ্যানটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে নিপা গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার পরপরই ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে পিকআপটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা যশোর-বেনাপোল সড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের ডাক্তার আব্দুর রউফ জানান, অপারেশনের মাধ্যমে নিপার ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে। সে এখন আশঙ্কামুক্ত। খবর পেয়ে হাসপাতালে নিপাকে দেখতে যান যশোরের জেলা প্রশাসক আবদুল আওয়াল। তিনি বলেন, ‘নিপার সব ধরনের চিকিৎসার ভার জেলা প্রশাসন বহন করবে’। নিপার বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়েটা খুবই মেধাবী। তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু কপালে এ কি ঘটে গেল!’ রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছরই নিপা বুরুজবাগান পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হয়। ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকায় সে প্রথম স্থান অধিকার করে। এর আগে সে একটি প্রি-ক্যাডেট স্কুল থেকে ৫ম শ্রেণি পাস করে। সেখানেও তার রোল ছিল এক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর