ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ঢাকায় চলাচলের জন্য সুপ্রভাত পরিবহনের কোন লাইসেন্স ছিল না। শুধু তাই নয়, ওই বাসটির নামে এর আগে আরও ২৭টি মামলা ছিলো। রাজধানীর বসুন্ধরা গেট এলাকায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীকে চাপা দিয়ে মেরে ফেলা এ পরিবহনের পারমিট ছিলো ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে। তাহলে সুপ্রভাত পরিবহনের এই বাসটি রাজধানীতে কিভাবে চলাচল করছিল?- এমন প্রশ্ন রেখে আছাদুজ্জামান মিয়া এই অনিয়মের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়ী করেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তন মহানগর নাট্যমঞ্চে আয়োজিত ট্রাফিক শৃঙ্খলা ও সচেতনতাবিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। ট্রাফিক ব্যবস্থার জন্য আমাদের কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই হবে। বারবার বলছি, কাজ হচ্ছে না। এখন আমাদের কঠোরভাবে আইনি প্রয়োগে যেতে হবে।
এখন থেকে দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ালে পথচারীর বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কমিশনার বলেন, দুর্ঘটনা ঘটলে আমরা কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যাই। জবাব দিতে পারি না। কিন্তু এটার পরিবর্তন হওয়া দরকার। জনগণ যাতে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করে, জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করে, সেজন্য ট্রাফিক বিভাগকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিচ্ছি। দুর্ঘটনা ঘটানোয় বাস যেমন আটক করেন তেমনি দুর্ঘটনার কারণ হলে পথচারীকেও আটক করুন। আটক করে মিডিয়াকে দেখান, দেশের মানুষকে দেখান যে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে, জেব্রা ক্রসিং ব্যতীত রাস্তা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে।